× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ কোনো অপশন হতে পারে না

এক্সক্লুসিভ

কাজল ঘোষ
২৮ নভেম্বর ২০২০, শনিবার

আমাদের টাস্কফোর্স শারীরিক নির্যাতনের শিকার যুব সমাজের জন্য একটি সেফ হোম তৈরির প্রস্তাব করে। এটি হবে এমন একটি আশ্রয়স্থল যা শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার তরুণদের আশ্রয় দেবে। এই সুবিধা স্কুলগুলোতে ফিরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। এই নেটওয়ার্ক মূলত ঝুঁকিপূর্ণ তরুণদের নিরাপদ স্বাস্থ্য সম্পন্ন এবং সঠিক রাস্তায় রাখার একটি প্রচেষ্টা। আমরা একটি সেফ হোম তৈরি এবং সর্বজনীন শিক্ষাদান কর্মসূচি নিয়ে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমরা পাবলিক টয়লেট এবং বাসে পোস্টার লাগাই যেন সহজেই তা ঝুঁকিপূর্ণ তরুণদের চোখে পড়ে এবং তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারে।

আমরা বিশ্বাস করি যে, পতিতালয় বা ম্যাসাজ পার্লারসহ যেসব স্থানে অনেক তরুণরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয় সেসব স্থানকেও এই নেটওয়ার্কের অধীনে নিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সুপারভাইজারদের বোর্ডকে তদন্ত করতে আবেদন জানিয়েছিলাম।
আমাদের আবেদনের ভিত্তিতে সুপারভাইজারদের বোর্ড সুপারিশ গ্রহণ ও অর্থায়ন করে। আমরা প্রথম কয়েক বছরেই বেশ কয়েকজন পলাতককে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। একই সময়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো শহরের কমপক্ষে তিন ডজন পতিতালয় বন্ধ করতে সক্ষম হয়। এই কাজগুলো ছিল অর্থবহ, উদ্দীপনাময়। আর এতে এটি প্রমাণ করে আমি আইনি লোক না হয়েও বড় ধরনের নীতি বাস্তবায়নে সক্ষম হয়েছি।
আমার মা সবসময় আমাকে প্রশ্ন করতেন, ‘তুমি কি করেছো?’ এই প্রশ্নটি এ সময় আমার কাছে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমি উপলব্ধি করি যে, নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আমাকে কারও দিকে চেয়ে থাকার দরকার নেই। আমি নিজে থেকেই তা করতে সক্ষম।

আমি মনে করি যে, আমার এই উপলব্ধি আমাকে নির্বাচিত হতে সাহায্য করেছে। আমার সামনে আমি যে সমস্যা দেখছি তার সামাধান করা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যখন আমরা সিটি অ্যাটর্নি অফিসে এগিয়ে যাচ্ছিলাম তখন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস ছিল আত্মবিনাসী। মেধাবী প্রসিকিউটররাও তাদের যোগ্যতার মূল্য পেতো না এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রেও তারা শৈথিল্য অনুভব করতো। ফলে সহিংস অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। আমি এটা জানতাম, আমরা সবাই এটি জানতাম। কিন্তু কারও কাছেই এটি বড় সমস্যা মনে হয়নি। তবে আমার কাছে এটি সমাধান এবং গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।  

আমি চেয়েছিলাম ডেপুটি অ্যাটর্নি অফিসের ক্ষমতা, সমর্থ এবং সর্বোপরি সম্মান। কিন্তু আমাকে অ্যাটর্নির অফিস চালাতে তার জন্য নির্বাচন করতে হবে। রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনা করতে নানান প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ থাকতে হয় এবং তার শুরু কোনোভাবেই সহজভাবে নিতে পারছিলাম না। আমি আমার পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী এবং মেনটরদের কাছে গেলাম। আমাদের এ নিয়ে অনেক দীর্ঘ গোছানো আলোচনা হয়েছে। আমরা এর ভালো এবং খারাপ দিকগুলো তুলে এনেছি এবং আমরা সেগুলোকে আবারো পাল্লায় তুলেছি।

মানুষ আমার ধারণাগুলোকে সমর্থন করেছে কিন্তু তারা চিন্তিতও ছিল। আমার বিরুদ্ধে ছিলেন আমার প্রাক্তন বস যিনি ইতিমধ্যেই তার শক্ত অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি একজন যোদ্ধা হিসেবেও খ্যাত, তার ডাক নাম কাইয়ো (কে.ও.)। অনেককেই হারিয়ে তিনি বক্সিং-এ যুবদের মধ্যে স্কোর করেছিলেন। আমার জন্য প্রচারণাটি শুধু কঠিনই ছিল না বরং ছিল ব্যয়বহুলও এবং আমার তহবিল সংগ্রহকারী হিসেবে আমার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।  

এটা কি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সঠিক সময় ছিল। এটি জানার কোনো উপায় আমার কাছে ছিল না। তবে বার বার আমি অনুভব করছিলাম যে, ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ কোনো অপশন হতে পারে না। আমার জেমস বাল্ডউইনের কথা মনে পড়ছিল, যার কথাগুলো নাগরিক অধিকারের সংগ্রামকে ব্যাখ্যা করতো। তিনি বলেছিলেন, ভবিষ্যতের জন্য বসে থাকলে আমরা কখনই আমাদের মুক্তির জন্য লড়াই করতে পারবো না। চ্যালেঞ্জটি এখনই নিতে হবে, লড়াইয়ের এখনই সময়।
কমালা হ্যারিসের অটোবায়োগ্রাফি
‘দ্য ট্রুথ উই হোল্ড’ বই থেকে
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর