চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কক্সবাজারের চকরিয়ায় সৌদিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। গতকাল ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী পাহাড়ি ঢালু থেকে শুরু করে চকরিয়ার খুঁটাখালীর ফুলছড়ি নতুন অফিস পর্যন্ত এই ডাকাতি সংঘটিত হয়। এ সময় ডাকাতের গুলিতে দু’জন বিদ্ধ এবং মারধরে আরো অন্তত ১৫ যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন। বাসটিতে ৭ জন ডাকাত ছাড়া ৩৩ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন কেউ ব্যবসায়ী, আবার কেউ পর্যটক এবং চাকরিজীবী।
ডাকাতের গুলিতে আহতরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের পানছড়ি গ্রামের এজাহার আহমদের পুত্র আবদুল্লাহ আল মামুন (২৭)। একটি গুলি সরাসরি তার পেটে বিদ্ধ হয়। রাকিব উদ্দিন (৩০) নামের আরেক যাত্রী হাতে গুলিবিদ্ধ হন।
অপরদিকে মারধরে আহত অন্য যাত্রীদের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। গুলিবিদ্ধ দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পেটে গুলিবিদ্ধ মামুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চকরিয়া থানার পুলিশ ও বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সৌদিয়া পরিবহনের একটি বাস বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেস থেকে ৩৭ যাত্রী নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পরে কর্ণফুলী নতুন ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে ব্যাগ নিয়ে লুঙ্গি পরিহিত আরো ৭ যাত্রী বাসে ওঠে। বাস ছাড়ার পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ঢালে পৌঁছালে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে মালামাল ও নগদ অর্থ লুটে নিতে থাকে। এ সময় তারা কয়েকজন যাত্রীকে মারধর করে। একপর্যায়ে কয়েকজন ডাকাত বাসচালকের কাছ থেকে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় যাত্রীরা বাধা দিলে ডাকাত দল এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে বাসের যাত্রী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রাকিব উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। এরপর ডাকাতরা খুটাখালী বহলতলী পাহাড়ি ঢালে বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার ও বাস জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।