× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এডিপি’র টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বাংলারজমিন

তারাগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
২৮ নভেম্বর ২০২০, শনিবার

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এডিপি (এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) প্রকল্পের প্রায় দেড় লাখ টাকা আত্মসাতের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রকল্প সভাপতির নামে ভাউচার না করে ওই চেয়ারম্যান তার নিজ নামে ভাউচার তৈরি করে এসব টাকা উত্তোলন করেছে বলে তথ্য অধিকার আইনে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে। তথ্য অধিকার আইনে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে উপজেলার সয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আজম কিরণের বিরুদ্ধে। তথ্য অধিকার আইনে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে,  ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বাদ্যযন্ত্র ক্রয়ের জন্য এডিপি’র ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর উক্ত অর্থ হারমোনিয়াম, ঢোল, তবলা, জিপানী, খোল, মন্দিরা, দোতারা, সেতার, বাঁশি, কমক, কিবোর্ড ও ড্রাম ক্রয়ের বরাদ্দ দেয়। কিন্তু প্রকল্প সভাপতি পারুল বেগম তার নামে বরাদ্দকৃত অর্থ সম্পর্কে কিছুই জানতো না। তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ভাই এসব আমি কিছুই জানি না, কৌশলে আমার কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আমার স্বাক্ষর নিয়ে বিল উত্তোলন করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তিনি আরো বলেন, আমি বুড়িরহাটে কোনো সাংস্কৃতিক কেন্দ্র দেখি নাই, আমি প্রকল্পের সভাপতি কি-না তাও জানি না।
আমি ওই প্রকল্পের কোনো কাজও করি নাই, টাকাও তুলি নাই। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় যে, প্রকল্পের সভাপতির নামে বিল-ভাউচার না করে চেয়ারম্যান তার নিজ নামে বিল- ভাউচার জমা দিয়ে উক্ত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। প্রকল্পের স্টিমেট অনুযায়ী বাদ্যযন্ত্র ক্রয়ের কথা থাকলেও সেখানে চেয়ারম্যান তার নিজ নামে ইট ক্রয় বাবদ ৯৫ হাজার টাকা, সিমেন্ট ক্রয় বাবদ ৪৩ হাজার ২৬০ টাকা, খোয়া ও বালু ক্রয় বাবদ ২৭ হাজার ৯৪০ টাকা, ৭৭ মিটার ড্রেনের কাজ সমাপ্ত করতে মিস্ত্রি বাবদ ৩৩ হাজার ৮০০ টাকা সহ মোট ২ লাখ টাকার ভাউচার দিয়েছেন। উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রহমান বলেন, আমি উক্ত প্রকল্পের স্টিমেট তৈরি করে দিয়েছি। কিন্তু উক্ত সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি যে নাই তা আমার জানা ছিল না। উপজেলা প্রকৌশলী হায়দার জামান বলেন, প্রকল্পটির কাগজপত্র আমার কাছে নেই। তাই আমি কিছু বলতে পারছি না। উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানের মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর