নিউজিল্যান্ডে কোভিড বিধি ভাঙার পর চূড়ান্তভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে। এর পুনরাবৃত্তি হলে সফরকারী পাকিস্তান দলকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার পর কোভিড পরীক্ষায় ৬ জন পজেটিভ হওয়ার খবর দিয়ে প্রথম আলোচনায় আসে পাকিস্তান দল। এরপর জানা যায়, কয়েকজন কোয়ারেন্টিনের শর্ত ভাঙায় সতর্ক করে দেয়া হয়েছে দলকে।
শুরুতে বিস্তারিত প্রকাশ করা না হলেও পাকিস্তানি ক্রিকেটারদেরদের বিধি ভাঙার খবর খোলামেলাই জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ড. অ্যাশলি ব্লুমফিল্ড। নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কম হওয়ার পেছনে মূল কৃতিত্ব দেয়া হয় ব্লুমফিল্ডের নেয়া নানা পদক্ষেপকে। আরএনজেড রেডিওকে ব্লুমফিল্ড বলেন, ‘কোয়ারেন্টিনে প্রথম তিন দিন নিজেদের কক্ষেই থাকার কথা। কিন্তু তাদের কয়েকজন কক্ষের বাইরে বারান্দায় মেলামেশা করছিলেন, কথা বলছিলেন, খাবার ভাগাভাগি করছিলেন এবং মাস্ক পরা ছিল না। জানি না তারা কতবার এসব করেছেন।
তবে নজড়ে পড়ার জন্য তো একবারই যথেষ্ট। শর্তগুলোয় স্বাক্ষর করেই এই ক্রিকেটাররা সফরে এসেছেন, সবকিছু তাই তাদের পরিষ্কার জানার কথা।’ সিসিটিভিতে এসব ধরা পড়ার পর পাকিস্তান দলকে কড়াভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়। বিব্রতকর এই ঘটনার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান হোয়াটসঅ্যাপে কড়া অডিও বার্তা পাঠান ক্রিকেটারদের জন্য। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার এবং তারা জানিয়েছেন, তিন বা চারটি বিধি ভাঙা হয়েছে। এ ব্যাপারটিতে তারা কোনো ছাড় দেয় না এবং তারা আমাদের চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আমরা জানি, সময়টা কঠিন, কোয়ারেন্টিনে থাকা সহজ কিছু নয়। কিন্তু এটা দেশের সম্মান ও বিশ্বাসযোগ্যতার ব্যপার। তারা আমাকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আরেকবার নিয়ম ভাঙলে, তারা আমাদের দলকে দেশে পাঠিয়ে দেবে।’ ঘরবন্দি তিন দিন শেষে কোয়ারেন্টিনের মধ্যেই শুক্রবার থেকে অনুশীলন শুরু করার কথা ছিল পাকিস্তান দলের। কিন্তু বিধি ভাঙার ঘটনার পর বৃহস্পতিবার থেকে তাদের কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা শুরু করা হয়েছে আবার নতুনভাবে। তিন দিন শেষে আরেকদফা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ হলেই কেবল অনুমতি মিলবে অনুশীলনের। আক্রান্ত ৬ জন হলেন, সরফরাজ আহমেদ, রোহাইল নাজির, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস, আবিদ আলী ও দানিশ আজিজ। দেশ ছাড়ার আগে চার দফা কোভিড পরীক্ষায় নেগেটিভ হয়েছিলেন তারা সবাই। ওই পরীক্ষাগুলোকে ভুল বলছেন না ব্লুমফিল্ড। তার মতে, ক্রিকেটাররা ভ্রমণ পথেও আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন।
সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলার কথা পাকিস্তান দলের। টি-টোয়েন্টি দিয়ে সিরিজ শুরু আগামী ১৮ই ডিসেম্বর।