× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

করোনা মহামারি / যেভাবে চলছে টিভি চ্যানেলগুলো

বিনোদন

এন আই বুলবুল
২৯ নভেম্বর ২০২০, রবিবার

দেশীয় চ্যানেলের সংখ্যা এখন নেহায়েত কম নয়। ৩৪টি চ্যানেল দর্শকরা দেখছেন। এরমধ্যে সংবাদ ও বিনোদনভিত্তিক চ্যানেলের সংখ্যাই বেশি। ২৪টির মতো চ্যানেল বিনোদনভিত্তিক অনুষ্ঠান প্রচার করছে। গেল কয়েক বছর ধরেই টিভি চ্যানেলগুলো বেশির ভাগ লোকসানের পথে চলছে। এই সময়ে কমেছে টিভি চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপন ও দর্শক। চ্যানেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় বিজ্ঞাপনের মূল্য কমেছে উল্লেখযোগ্যহারে, এমনটিই জানা গেছে বিভিন্ন চ্যানেল সূত্রে। টিভি চ্যানেল ছাড়াও দর্শকদের চোখ এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে।
ইউটিউবসহ বিনোদনের নানা মাধ্যমে দর্শকরা এখন নিয়মিত। টিভি চ্যানেলের ওপর দর্শকরা এখন আর আগের মতো নির্ভরশীল নয়। বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের অনুষ্ঠান কিংবা শো এখন হাতের নাগালে। এদিকে করোনা মহামারির কারণে সবকিছুতে এসেছে পরিবর্তন। বিশেষ করে আর্থিক সংকটে পড়তে হয়েছে কম বেশি সব প্রতিষ্ঠানকে। এর ফলে কোণঠাসা অবস্থায় পড়েছে অনেক চ্যানেলও। দেশে করোনা হানার প্রায় ৯ মাস চলছে। নতুন স্বাভাবিক জীবনে এখন চ্যানেলগুলোর অবস্থা কি? টিকে থাকতেই বা কতটুকু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে? এ প্রসঙ্গে এটিএন বাংলার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তাশিক আহমেদ বলেন, করোনার কারণে সারা বিশ্বে সব ব্যবসায় লোকসান ছিল। সেখানে আমরা টেলিভিশন চ্যানেলগুলো লোকসান করিনি এটা বললে ভুল হবে। আমরা প্রথম ৬ মাস বেশ খারাপ সময় পার করেছি। এখন সেটি অতিক্রম করার চেষ্টা করছি। আরো কয়েক মাস লেগে যাবে স্বাভাবিক হতে। এরমধ্যে করোনা আবারো বড় ধরনের হানা দেয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। যদি সেটি হয় তাহলে এবার আগের চেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। আমরা এখন টিভির পাশাপাশি অনলাইনে মনোযোগী হচ্ছি। আমাদের অনুষ্ঠান ইউটিউবে যাচ্ছে। সেখান থেকে বাড়তি আয় হচ্ছে। সেই আয় দিয়ে টেলিভিশনের লোকসান পূরণ করার চেষ্টা করছি। বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান তারেক আখন্দ বলেন, করোনার আগে থেকেই টিভি চ্যানেলগুলো খারাপ সময় পার করছে। এরমধ্যে করোনা আমাদের স্বাভাবিক জীবন থমকে দিয়েছে। শেষ ৭-৮ মাস সবার মতো আমাদেরও কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। তবে এখন সেটি থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি। এর জন্য সময় প্রয়োজন। এ ছাড়া আমরা ব্যয় সংকোচনে জোর দিচ্ছি। চ্যানেলগুলো একটা সময় বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরশীল ছিল।  তবে টেলিভিশনের বাইরেও এখন বিজ্ঞাপন আরো নানা মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে। যার কারণে পর্যাপ্ত বিজ্ঞাপনের রেট আমরা পাচ্ছি না। আমি মনে করি চ্যানেলগুলোকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এখন সঠিক পথে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে আমাদের আরো খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। বিষয়টি নিয়ে একুশে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান জাহিদ হাসান শোভন বলেন, আমাদের এখন প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে দু’টি মাধ্যমের সঙ্গে। বিদেশি চ্যানেলের পাশাপাশি ডিজিটাল প্ল্যাটফরম আমাদের প্রতিযোগী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এখন আর আগের মতো সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না এটা সত্যি। এরমধ্যে করোনা আমাদের আরো পিছিয়ে দিয়েছে। করোনার সময়ে দর্শকরা ডিজিটাল প্ল্যাটফরমমুখী হয়েছেন। আগামীতে এর সংখ্যা বাড়বে বলে আমি মনে করি। এজন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফরমকে টিভি চ্যানেলগুলোর প্রতিযোগী না ভেবে পরিপূরক ভাবতে হবে। এরমধ্যে অনেক টিভি চ্যানেলও ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে এসেছে। অনলাইনের আয় দিয়ে টিভি চ্যানেলগুলোকে টিকে থাকতে হবে। করোনার এই সময়কে রিকোভার করতে হলে চলমান অনুষ্ঠানগুলোর দিকে আরো বেশি জোর দিতে হবে। কনটেন্ট যদি ভালো মানের না হয় দর্শকরা আরো বেশি টিভি বিমুখ হবে। একইসঙ্গে বাজেট বাড়াতে হবে অনুষ্ঠানের। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ভিন্ন সুরে আরটিভি’র হেড অব প্রোগ্রাম সুধিব চন্দ্র ঘোষ বলেন, করোনায় আমাদের টিভি চ্যানেলের দর্শক বেড়েছে। সত্যি বলতে যখন খেলা হয় তখন দর্শকরা আর অন্য অনুষ্ঠানগুলোর দিকে চোখ রাখে না। করোনায় খেলা বন্ধ থাকায় দর্শকদের বিনোদনের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে টিভি চ্যানেলগুলো আগের মতো নেই। বিজ্ঞাপনের রেটও আগের চেয়ে কম এখন। করোনা মহামারিতে এপ্রিল মাসে আমরা একটু ক্রাইসিস সময় পার করেছি। কিন্তু পরে যখন চলমান অনুষ্ঠানের দিকে গুরুত্ব দিয়েছি আমাদের দর্শক বেড়েছে। আমরা এখন সেটি ধরে রাখার চেষ্টা করছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর