× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

অগ্রগতি নেই কেরানীগঞ্জে মোল্লাবাজার ব্রিজ নির্মাণ কাজের

বাংলারজমিন

মো. আলমগীর হোসেন, কেরানীগঞ্জ থেকে
২৯ নভেম্বর ২০২০, রবিবার

ঢাকার কেরানীগঞ্জে কোণ্ডা ইউনিয়নের মোল্লারহাট ব্রিজের নির্মাণ কাজের কোনো গতি নেই। নির্মাণ কাজের মেয়াদ প্রায় শেষ প্রান্তে পৌঁছলেও ব্রিজের নির্মাণ কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। এতে নদীর দুই পাড়ের লাখ লাখ মানুষের ক্ষোভ যেমন দিনদিন বাড়ছে, তেমনি মানুষের ভোগান্তি এখন চরম পর্যায়ে  পৌঁছেছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অফিস সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান, টুঙ্গিবাড়ী,  লৌহজং উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জ সদর এলাকার মানুষ  যাতে কেরানীগঞ্জ হয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে সেজন্য কোণ্ডা ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকায় ধলেশ্বরী শাখা নদীর ওপর ২০১৮ সালের ১০ই জুন ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২৫২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ মিটার প্রস্থের এই ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৪২ হাজার ২৮৪ টাকা। সুরমা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল বর্তমান বছরের ২০শে ডিসেম্বর। সরজমিন দেখা যায়, মোল্লারহাট এলাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের একটি অফিস রয়েছে।
ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. ফজলুর রহমান ছাড়া অন্য আর কাউকেই দেখা যায়নি। অফিসের পাশেই ব্রিজ নির্মাণের বিভিন্ন সামগ্রী যত্রতত্র পড়ে আছে। ব্রিজের ৮টি পিয়ারের মধ্যে ২টি পিয়ারের আংশিক কাজ হয়েছে। সেখানে মন্তর গতিতে ৪/৫ জন নির্মাণ শ্রমিক কাজ করছেন যা মানুষের চোখে পড়ার মতো নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, এ পর্যন্ত ৪/৫ বার ব্রিজের ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। ব্রিজের দুই পাড়ের জমি অধিগ্রহণ নিয়েও জটিলতা দেখা দেয়ায় ব্রিজের নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে। এছাড়া  চাহিদা মোতাবেক ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ব্রিজের নির্মাণ কাজ প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। নদীর উভয় পাড়ের একাধিক মানুষ জানান, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় হাউজিং কোম্পানিসহ কয়েকটি হাউজিং কোম্পানি ওইসব এলাকায় কম দামে জমি কেনার জন্য ব্রিজের নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে করার ষড়যন্ত্র করছে। কোণ্ডা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার ইকবাল আহমদ নিবিড় বলেন, মোল্লাবাজার ব্রিজটি নির্মিত হলে এটির মাধ্যমে কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান, টুঙ্গিবাড়ী, লৌহজং উপজেলাসহ মুন্সীগঞ্জ সদরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে। খুব সহজেই ওইসব এলাকার মানুষ রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে। কিন্তু ব্রিজটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্মিত না হওয়ায় মুন্সীগঞ্জের ওইসব এলাকার মানুষকে নিত্যদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার হতে হচ্ছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী বলেন, করোনাকালীন সময় ও বর্ষার কারণে ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকে। তাছাড়া নদীর স্রোতের কারণে নদীর ভিতর একটি পিয়ারের সমস্যা হওয়ায় সাময়িকভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় এবং নদীতে পানি কমে যাওয়ায় এখন ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে।
ব্রিজ নির্মাণের মেয়াদ আবারো বাড়ানো হলে  দ্রুত সময়ে  ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ এ ব্যাপারে বলেন, মোল্লা বাজার ব্রিজটি নির্মিত হলে এটি কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর