চট্টগ্রামের হাটহাজারী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যানতত্ত্ব সেমিনার কক্ষে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ‘কৃষিতে উপকারী নভেল বেসিলাস’ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উৎপাদিত জৈব পণ্য ব্যবহার করে বেগুনের ঢলে পড়া রোগ নিয়ন্ত্রণের প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিস্তার শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোক্তাদির আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. খলিলুর রহমান ভূঁইয়া। বৈজ্ঞানিক সহকারী আলাউদ্দিন আল আজাদের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কর্মসূচির পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. তোফাজ্জল হোসেন রনি। এ সময় নভেল বেসিলাসের ওপর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ৩০ জন কৃষকের মাঝে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন। দুইজন কৃষকের হাতে সার, ইমো অন্যান্য কৃষি সামগ্রী তুলে দেন। প্রশিক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জামাল উদ্দিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. পানজারুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. খলিলুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, বেগুনের মাঠ পর্যায়ে ঢলে পড়া রোগটি ক্যান্সারের মতো প্রভাব বিস্তার করে। ফলে কৃষকরা প্রতি বছর মারাত্মক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
ঢলে পড়া রোগটি মূলত মাটিবাহিত যা ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়াকে দমন করতে আমাদের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিবেশবান্ধব নভেল বেসিলাস তৈরি করেছেন। যা ঢলে পড়া রোগের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এই নিরাপদ বিষমুক্ত কৃষিবান্ধব উপায়ে বেগুনের ঢলে পড়া রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে নভেল বেসিলাস প্রয়োগ করে ঢলে পড়া রোগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সহজ। পরিবেশবান্ধব নভেল বেসিলাস কৃষকের কাছে সহজভাবে পৌঁছে দিতে অঞ্চল ভিত্তিক এই গবেষণার কার্যক্রমও আরো বাড়াতে হবে।