× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দুর্দান্ত মোস্তাফিজে সাকিবদের হার

খেলা

স্পের্টস রিপোর্টার
২৯ নভেম্বর ২০২০, রবিবার

প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ সাকিব আল হাসান। হয়তো সেই কারণেই তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ে মাঠে নামলেন। কিন্তু ব্যর্থতা থেকে বের হতে পারলেন না সাকিব।  গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে নাহিদুল ইসলামের বলে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৩ রানেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। অবশ্য এতেই গর্বের এক ল্যান্ডমার্ক স্পর্শ করেছেন সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫ হাজার রান পূর্ণ হলো তার। সঙ্গে সাড়ে তিনশ উইকেটের ডাবলও অর্জন করেছেন তিনি। তবে ম্যাচে বল হাতে আলো টানলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৫ রানে চার উইকেট নিলেন ‘কাটার মাস্টার’।
এতে মাত্র গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে মাত্র ৮৬ রানে গুঁড়িয়ে যায় সাকিব-মাহমুদুল্লাহর জেমকন খুলনা। পরে সহজেই টার্গেট পূর্ণ করে চট্টগ্রাম।
দলীয় ৬ রানে এনামুল হক বিজয় রান আউট হন সাকিবের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে। আর সাকিব বিদায় নেন দলীয় রানে। ১ রান করে আউট হন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। এতে ৪.৪ ওভার শেষে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭/৩-এ।  এর পর বল হাতে দুর্বার হয়ে ওঠেন মোস্তাফিজুর রহমান। হাজির ৩.৫ ওভার বল করে মাত্র ৫ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট। আসরের সর্বনিম্ন সংগ্রহ ৮৬ রানে অলআউট হয় খুলনা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ৮৮ রানে অলআউট করেছিল চট্টগ্রাম। গতকাল জবাবে ১৩.৪তম ওভারে ৯ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে মোহাম্মদ মিঠুন বাহিনী। ওপেনিং জুটিতে আসে ৭৩ রান। আগের ম্যাচে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকা সৌম্য সরকার এদিন আউট হন ২৬ করে। আর ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন অপর  ওপেনার লিটন কুমার দাস। টানা দ্বিতীয় জয় শেষে অধিনায়ক মিঠুন বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা যেভাবে খেলছি। সেটা খুবই ইম্প্রেসিভ। আমি খুব খুশি সব বোলারকে নিয়েই। দুই ম্যাচেই তিনজন ব্যাটসম্যান ব্যাটিং করেছে। তারা তাদের কাজটা করেছে ঠিকভাবে। আমি বিশ্বাস করি যখন সময় আসবে তখন বাকিরাও তাদের কাজটা করবে।’ ইনজুরি ও অফ ফর্মের কারণে বেশ কিছুদিন থেকেই  দেশের সেরা পেসার মোস্তাফিজকে যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু গতকাল আবারো কাটার মাস্টার ব্যাটসম্যানদের আতঙ্ক হয়ে ওঠেন। টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে যায় খুলনা। দুই ম্যাচে ০ তে আউট হওয়া এই ইমরুলও কায়েস গতকাল করেন ২১ রান।  তার আগে ১৪ রান করে আউট হন জহুরুল ইসলাম অমি। ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন আরিফুল হক। খুলনার প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক। দ্বিতীয় ম্যাচেও দলের বিপর্যয়ে লড়েছিলেন। তবে এই ম্যাচে তাকে টিকে থাকতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। ৩০ বলে ১৫ রান করার পর দেখান সাজঘরের পথ। তার আগে শামীম পাটোয়ারি ও রিশাদ হোসেনকে দুই অংক ছোঁয়ার আগেই বিদায় করেন এই পেসার। তার শেষ শিকার পেসার আল আমিন হোসেন। এমন বোলিংয়ে বরাবরের মতোই নির্লিপ্ত স্বল্পভাষী মোস্তাফিজ। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগছে। খুব বেশি ঘুরে নাই বল। আমাদের স্পিনাররাও ভালো শুরু করেছিল। শরিফুল ভালো বল করেছে। সব মিলিয়ে সবাই ভালো করেছে।’ জবাব দিতে নেমে প্রথম ম্যাচের মত এদিনও চট্টগ্রামের দুই ওপেনাার দারুণ শুরু করেন। লিটন দাস আসরে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন ৪৬ বলে। তবে তার ইনিংসে ছিল না কোনো ছয়ের মার, তার ইনিংসে ৯টি চারের মার। অন্যদিকে ২৬ রানের ইনিংসে সৌম্য সরকার ৪ চারে খেলেছেন ২৯ বল।  সৌম্যের আউটে ওপেনিং জুটি ভাঙলে ক্রিজে আসেন মুমিনুল হক। অবশ্য তার  বেশি কিছু করার ছিল না। লিটনের সঙ্গে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আসরে এটি তারকা খঁচিত জেমকন খুলনার টানা দ্বিতীয় হার। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ অবশ্য এই হার ভুলে যেতে চান না। এখান থেকে নিতে চান শিক্ষা। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ভুলে যাওয়াটা সমাধান নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা কী ভুল করেছি। এবং চেষ্টা করতে হবে একই জিনিস আবার না করার। আমার মনে হয় উইকেট কিছুটা বোলারদের পক্ষে ছিল। কিন্তু এটা কোনো অজুহাত নয়। আমরা নিজেদের ঠিকভাবে মেলে ধরতে পারিনি।’ মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের লোয়ার ব্যাটিং অর্ডার খুব ইতিবাচক । আমরা আবারও ব্যর্থ হয়েছি ব্যাটিং বিভাগ হিসেবে। আমাদের স্পিন বিভাগ খুব ভালো করেছে, সাকিব ভালো বল করেছে। এটা ইতিবাচক দিক। কিন্তু এটা ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। আমরা আমাদের পরিকল্পনার প্রয়োগ করতে পারছি না।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর