শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের মন্ত্রীপদ ছাড়তেই রাজনৈতিক তরজা জমে উঠেছে বাংলায়। রোববার তৃণমূলের ভাইপো বলে যাকে বিজেপি আক্রমণের ঝড় তুলেছে, সেই সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সাতগাছিয়ায় এক সমাবেশে নাম না করে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন। অভিষেক বলেন, তিনি লিফট কিংবা প্যারাসুটে করে তৃণমূলে নামেননি। যদি লিফটে করে উঠতেন তাহলে দক্ষিণ কলকাতা ছেড়ে ডায়মন্ডহারবারে নির্বাচন লড়তে আসতে হতো না। প্যারাসুটে উঠলে তিনি পঁয়তিরিশটি পদ পেতেন, শেষের বক্তব্যটি শুভেন্দুর তৃণমূলে পদ পাওয়া নিয়ে। উল্লেখযোগ্য, কদিন আগে শুভেন্দু কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূলের কিছু নেতাকে যারা লিফট-এ করে অথবা প্যারাসুটে চেপে দল করতে এসেছেন। কাঁথি দু নম্বর ব্লকে এক জনসভায় শুভেন্দুর নাম না করে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, দিদির অনুগামী ছাড়া তৃণমূলে আর কিছু নেই। মমতা বন্দোপাধ্যায় এই দলের প্রাণশক্তি। শুভেন্দুর সমর্থকরা নিজেদের যে দাদার অনুগামী বলে পরিচয় দিছেন, ব্রাত্যর খোঁচা সেই দিকেই ছিল। এই সব আক্রমণ, অভিযোগের জবাবে স্পিকটি নট শুভেন্দু। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর মহিষাদল এ প্রকাশ্য জনসভায় শুভেন্দু রোববার প্রথম যোগ দেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী রঞ্জিত বয়ালের স্মরণসভায় শুভেন্দু একটি রাজনৈতিক শব্দও উচ্চারণ করেননি। অনেকেই এই স্তব্ধতাকে ঝড়ের পূর্বাভাস মনে করছেন।।