× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফুলগাজীতে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বাংলারজমিন

ফেনী প্রতিনিধি
২৯ নভেম্বর ২০২০, রবিবার

ফেনীর ফুলগাজীতে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিম্মমানের বীজ, উপকরণ সরবরাহ ও কৃষকের নামে ভুয়া স্বাক্ষরে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ফুলগাজী উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম কাগজ-কলমে নাম-ঠিকানা আর ছবি দিয়ে বরাদ্দকৃত টাকাসহ সরকারের বিভিন্ন কৃষিপণ্য কৃষকের নামে তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ফুলগাজী উপজেলার কৃষি উন্নয়ন ও লেবুজাতীয় ফল চাষের দুটি বিশেষ প্রকল্প চালু রয়েছে। এর অনুকূলে চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৬০ জন সুবিধাভোগী কৃষকদের জন্য বরাদ্দ প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা এবং ৯০টি লেবুজাতীয় ফল বাগানের জন্য সাইট্রাস প্রকল্পে বরাদ্দ রয়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এর মধ্যে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ৪৬০ জন কৃষককে প্রায় ৬ লাখ টাকা পরিমাণ বিভিন্ন প্রকারের সার ও বীজ দেয়ার কথা ছিলো।
মাল্টা চাষি নাজিম উদ্দিন জানান, মাল্টা গাছ প্রতি ৬০ টাকা বরাদ্দ হলেও কৃষকদের ১০-১৫ টাকার নিম্নমানের চারা সরবরাহ করা হয়েছে। এদের বেশিরভাগ গাছ মরে যাচ্ছে। যেগুলো বড় হচ্ছে সেগুলোর ফলন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা।

এরশাদ উল্যাহ নামে এক সুবিধাভোগী কৃষক জানান, সরবারহকৃত সারের মান এত নিম্ন যে তা পাওয়া আর না পাওয়া একই কথা। এগুলো ব্যবহার না করে ফেলে দিতে হচ্ছে।
কৃষক আবুল কালাম জানান, সাইট্রাস প্রকল্পের সুবিধাভোগী ৯০ জন কৃষককে প্রায় সোয়া ৫ লাখ টাকার চুন, সার আর পরিবহন বিলসহ সরঞ্জামাদি দেওয়াই হয়নি।
কাগজে-কলমে সুবিধা পাওয়া মনসুর আহমেদ নামে এক কৃষক জানিয়েছেন, প্রকল্পের সুবিধাভোগীর তালিকায় তার ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হলেও ছবি ও স্বাক্ষর তার নয়।
আরেকজন কৃষক প্রকল্পের সুবিধাভোগীর তালিকায় নিজের স্বাক্ষর দেখে জানালেন, তার স্বাক্ষরটি জাল। কারণ, যত সুন্দর করে সেখানে স্বাক্ষর দেওয়া আছে ততো সুন্দর করে তিনি লিখতে পারেন না। তবে, কোনও রকম সুবিধা না পেলেও তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ফুলগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সব অভিযোগের দায় তার অধীনস্থদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘সবাই বলছেন টাকা পাননি। ঠিক আছে তারা টাকা পাননি। আমিও তো বলছি দেইনি। কারণ, এখনও তো তারা বিল-ই করেননি। যে স্বাক্ষর রয়েছে, তা আছেই। এখনও আরও কয়েকটি উপকরণ যোগ করে বিল করে একসাথে তোলা হবে। ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তোফায়েল আহম্মদ চৌধুরী জানান, এসব অভিযোগ আগে কখনও আমাদের নজরে আসেনি। বিষয়টি মাত্র অবগত হলাম। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দায়িদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত কৃষি কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম সাড়ে ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফুলগাজী উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর