সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের হাতে পিতা খুন হয়েছে। খুন হওয়া ব্যক্তি উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্ধ গ্রামের মৃত ফালু মিয়ার ছেলে। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাদাঘাট বাজারের বাদাপট্টি বোর্ডের ছেলের দোকানের সামনে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনার পর পর অভিযান চালিয়ে ঘাতক নাজমুল ইসলাম (২৫)কে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ঘাতক নাজমুল ইসলাম নিহত ইসলাম উদ্দিনের বড় ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে বাদাঘাট বাজারে ছেলের কসমেটিক দোকানের সামনে এসে পিতা ইসলাম উদ্দিন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তর্কবিতর্ক করছিল ছেলে নাজমুলের সঙ্গে। একপর্যায়ে ছেলে উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা ছরতা (সুপারি কাটার যন্ত্র) দিয়ে পিতার মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে আশপাশে থাকা লোকজন স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে তাকে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে এবং গতকাল সকালে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনার পর পরই ঘাতক ছেলে পালিয়ে যায়। রাত তিনটার দিকে ঘাগটিয়া গ্রাম থেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
নিহতের ছোট ভাই রইছ মিয়া জানান, তার বড় ভাই বিগত কয়েক বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছিল। বাড়িতে অকারণে ঝগড়া আর ভাঙচুর করতো। সামনে যাকে পেতো তাকেই মারপিট করতো। গত শনিবার রাতে ছেলের দোকানের সামনে গিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং তর্কবিতর্ক করছিল। একপর্যায়ে ছেলে মাথায় আঘাত করলে তার বড় ভাইয়ের মৃত্যু হয়। তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, বাদাঘাট বাজারে পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলের হাতে পিতা খুন হয়েছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘাতক ছেলেকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাগটিয়া গ্রাম থেকে আটক করেছে। এ বিষয়ে থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।