সরাইল উপজেলা প্রশাসন চত্বরের উপর দিয়ে রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তিন গ্রামের বাসিন্দারা। গতকাল সকাল ১১টার দিকে উপজেলা চত্বরে সদর ইউনিয়নের নতুন হাবেলীপাড়া, আরিফাইল ও স্বল্পনোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন এ বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল শেষে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন বলছে- এটা প্রশাসন পাড়া। এখানে কোনো রাস্তা নেই। অরক্ষিত থাকায় লোকজন চলাচল করতো। মিছিলের সময় উপজেলা সদরের সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে পুলিশ অন্তর (১৮) ও লিটন (১৮) নামের দুই যুবককে আটক করে। দুপুরের পর তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন আরিফাই গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, একই গ্রামের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা মাহফুজ আলী, যুবদল নেতা মশিউর রহমান প্রমুখ।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশের পাশাপাশি র্যাব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফারজানা প্রিয়াংকা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেখানে বেড়া দেয়া হয়েছে তা জনসাধারণের কোনো রাস্তা নয়। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামের লোকজন অবাধে চলাফেরা করতো। প্রশাসন চত্বরের নিরাপত্তার জন্য বেড়া দেয়া হয়েছে। এর আগে তাদের জন্য অর্ধকোটি টাকা খরচ করে বিকল্প পথের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই উপজেলা প্রশাসন চত্বরের মাঝখান দিয়ে গ্রামবাসী অবাধ চলাফেরা করতে পারে না। আইনকে আবেগ দিয়ে দেখার কোনো সুযোগ নেই। ওই রাস্তাটির আরো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ চেয়ে পাঠিয়েছি। আরো কাজ হবে।’ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, এখানে কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। গত তিন মাসে উপজেলা প্রশাসনের অধিকাংশ দপ্তরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর কারা? কোথা থেকে আসে? সেটা তো কেউ বলতে পারে না। অরক্ষিত জায়গাগুলো দিয়ে চোর ও মাদকসেবীরা প্রবেশ করে। কাজ সেরে আবার ওই সব ফাঁক দিয়েই আবার বেরিয়ে যায়। তাই উপজেলা পরিষদে আমার আগের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে রাস্তাটি বন্ধ করা হয়েছে। তাদেরকে বিকল্প রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হবে।