বাংলারজমিন
চট্টগ্রামে আয়কর রিটার্নে করদাতাদের ভিড়
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২০২০-১১-৩০
আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ সময়ে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিকের কর অঞ্চলের ভবনগুলোতে উপচেপড়া ভিড় জমেছে করদাতাদের। রোববার সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন করদাতারা। কর অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি নিকটস্ত সোনালী ব্যাংকের শাখায়ও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রামের কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিটি কর অঞ্চলের ভবনের নিচে নির্দিষ্ট সার্কেলের জন্য বুথ করে দিয়েছি। তথ্যকেন্দ্র খুলেছি। যেখানে রিটার্ন ফরম, চালান, সময় বাড়ানোর আবেদন ইত্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় রিটার্ন দাখিল করতে আসা সম্মানিত করদাতাদের মাস্ক পরাটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। করদাতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর বিভাগের সক্ষমতাও বাড়ছে। আগামীতে বেশিরভাগ করদাতাই ঘরে বসেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। এবার শুধু ঢাকার একটি কর অঞ্চলে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, চলতি বছর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান। ফলে আয়কর রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের ভিড় বাড়ে। তাছাড়া আমরা করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করছি। যারা সেরা করদাতা হয়েছেন তাদের ছবি টাঙিয়ে দিয়েছি। যাতে তারা কর অফিসে এলে সম্মানিত বোধ করেন এবং নতুন করদাতারা উদ্বুদ্ধ হন। তিনি বলেন, বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের রিটার্ন দাখিলের সুবিধার্থে মেলার আঙ্গিকে বুথ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে ছাপানো রিটার্ন ফরম, চালান ইত্যাদি। লাইনে দাঁড়িয়ে একের পর এক করদাতা রিটার্ন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিচ্ছেন। প্রথমবার রিটার্ন দাখিল করতে আসা সীতাকুন্ডের আবুল কাসেম বলেন, রিটার্ন দাখিল নিয়ে একধরনের ভীতি কাজ করছিল। এখানে আসার পর সেই ভয় দূর হয়ে গেছে। তিনি রিটার্ন ফরম পূরণ করে টিনের কপিসহ নিজের সেলারি সার্টিফিকেট, ব্যাংক হিসাবের বিবরণী, ডিপিএস, এফডিআর, শেয়ারবাজারের হিসাব বিবরণী ইত্যাদি জমা দিয়েছেন বলে জানান। চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সাধারণ সমপাদক মো. আনিসুর রহমান বলেন, শেষদিকে আয়করদাতার চাপ বেড়েছে। যারা নানা জটিলতা বা স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করতে না পারায় রিটার্ন দাখিলে অপারগ তারা সময় চেয়ে আবেদন করছেন। সার্কেল থেকে দুই মাসের সময় দেওয়া হচ্ছে। এরপর প্রয়োজনে জোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও দুই মাসের সময় দিতে পারবেন। কিন্তু যাদের টিন আছে সবাইকে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। আমাদের সমিতির সদস্যরা করদাতাদের সর্বাত্নক সেবা দিচ্ছেন। এদিকে সোমবার (৩০শে নভেম্বর) আয়কর দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও শোভাযাত্রা হবে না। রোববার (২৯ নভেম্বর) এনবিআররের সম্মেলন কক্ষে মাসব্যাপী কর সেবাদান এবং ৩০শে নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী।