করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারি হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বেসরকারি মেডিকেল হাসপাতালে আইসিইউ ও করোনা রোগীর জন্য চিকিৎসা বরাদ্দকৃত শয্যা দ্বিগুণ করার পরামর্শ দেন। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা এবং ভ্যাকসিন বিষয়ক’ এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দ্বিতীয় সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রথম কারণ হলো আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। আমরা বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা করছি। আমরা মাস্ক পরছি না। আমাদের বেশি আত্মবিশ্বাস হয়ে গেছে। শীতকালে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হয়।
কঙবাজার সমুদ্র সৈকতে লাখ লাখ মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখান থেকে সংক্রমণ বাড়ছে। তিনি বলেন, শীতকালে বিভিন্ন রকম রোগ বালাই হয়। এ রোগ বালাইয়ের কারণে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া শীতকালে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হয়। এগুলোর জন্য সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা যেভাবে প্রথম সংক্রমণ মোকাবিলা করেছেন। একই সঙ্গে কোভিড, নন-কোভিড ও ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক একইভাবে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ মোকাবিলায় কাজ করবেন। একই সঙ্গে কোভিড, নন-কোভিড ও ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার দেয়ার জন্য প্রস্তুতি রাখতে হবে। এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি নেন। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত যেকোনো ভ্যাকসিন বাজারে আসলে আমরা প্রথম ধাপে পাবো। সরকারি হাসপাতালে যদি টিকা দেয়া হয় তাহলে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, পৃথিবীতে যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় তাহলে বাংলাদেশের মানুষ ধাপে ধাপে ভ্যাকসিন পাবে। এক সঙ্গে সকলকে ভ্যাকসিন দেয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। এমনকি উন্নত দেশেরও নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। বেসরকারি মেডিকেল হাসপাতালগুলোর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বেসরকারি হাসপাতালে পরীক্ষার ফি কমানোর দাবি জানান তিনি।
বিপিএমসিএ’র সভাপতি এমএ মতিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নুর, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ার হোসেন খান, এমপি প্রমুখ।