× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রায়হান হত্যার ভিসেরা ও ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন হস্তান্তর

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৩০ নভেম্বর ২০২০, সোমবার

 পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের প্রথম ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও ভিসেরা প্রতিবেদন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দু’টি প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে। ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. শামসুল ইসলাম জানিয়েছেন, সিআইডি (চট্টগ্রাম) কর্তৃক প্রেরিত ভিসেরা প্রতিবেদনে দেখা যায়- মৃত্যুর পূর্বে রায়হানের শরীরে বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। সুতরাং অতিরিক্ত আঘাতের ফলে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত ১৭ই নভেম্বর মূল অভিযুক্ত সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাবেক এস আই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে সাতদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে তাকে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আওলাদ হোসেন। শুনানি শেষে বিচারক সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সকালে খাসিয়াদের সহযোগিতায় বরখাস্ত এস আই আকবর হোসেনকে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের হাতে তুলে দেয় ভারতীয় খাসিয়ারা।
খবর পেয়ে পোশাকে-সাদা পোশাকে পুলিশ ঘটনাস্থল ডোনা সীমান্ত এলাকায় পৌঁছলে জনতা তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এরপর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আকবরকে সিলেটে আনা হলে সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন আহমদ। গত ১১ই অক্টোবর ভোর রাতে রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হয়। পরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। ‘রায়হান ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন’ পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হলেও নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ ছিল পুলিশ ধরে নিয়ে ফাঁড়িতে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরিবারের অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্ত দল ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর সত্যতা পায়। এতে জড়িত থাকায় ইনচার্জ আকবরসহ চার পুলিশকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন। ঘটনার পর অন্য ছয়জন পুলিশ হেফাজতে থাকলেও আকবর পলাতক ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর