× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আজই রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন, সময় বাড়ছে না

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
৩০ নভেম্বর ২০২০, সোমবার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য ৩০শে নভেম্বরই শেষ দিন, সময় আর বাড়ছে না। রোববার ঢাকার সেগুনবাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আজ সোমবার পর্যন্তই থাকবে, সময় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই, সময় বাড়ানো হচ্ছে না। অর্থাৎ, যে করদাতারা এখনো আয়কর রিটার্ন জমা দেননি, তাদের সোমবারের মধ্যেই তা জমা দিতে হবে। তা না হলে গুনতে হবে জরিমানা। তবে আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, নির্ধারিত সময়ে যারা আয়কর রিটার্ন দিতে পারবেন না, তারা সংশ্লিষ্ট কর অফিসে আবেদন করতে পারবেন। নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন জমা না দেয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে তার জরিমানা মওকুফ করা হবে। কমিশনারের কাছে যদি কারণ যৌক্তিক মনে না হয়, তবে তাকে জরিমানা দিতে হবে।
তিনি বলেন, এ বছর আমরা রিটার্ন দাখিলে সময় বাড়াচ্ছি না। আমাদের চেষ্টা সত্ত্বেও আয়করের ক্ষেত্রে আমরা বাড়াতে পারেনি। আমাদের আয়কর বিভাগের প্রচেষ্টার পাশাপাশি জনগণের ভেতরেও সচেতনতা প্রয়োজন। এ বছর নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দাখিলের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২৬শে নভেম্বর পর্যন্ত হিসাব ধরলে রিটার্ন জমার পরিমাণ বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৩ হাজার ১৯৯টি। তবে একই সময়ে আয়কর কমেছে ১৯৩ কোটি টাকা। গত বছর ২৬শে নভেম্বর পর্যন্ত ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৬টি আয়কর রিটার্ন জমা পড়েছিল, কর বাবদ সরকারের খাতায় জমা পড়েছিল ২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। সেখানে এবার ওই তারিখ পর্যন্ত ১৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ জন তাদের রিটার্ন দাখিল করেছেন। তাতে আয়কর হিসেবে সরকার পেয়েছে ২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। বর্তমানে দেশে ৪৬ লাখ নাগরিকের কর শনাক্তকারী নম্বর (টিআইএন) রয়েছে। তাদের অর্ধেকও নিয়মিত রিটার্ন জমা দেন না। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২০০৮ সাল থেকে জাতীয় আয়কর দিবস পালন করা হচ্ছে। ২০১০ সাল থেকে আয়কর মেলা করা হচ্ছে। এবার করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে কেন্দ্রীয়ভাবে আয়কর মেলা করা হয়নি। তবে আমরা প্রতিটি জোনে এবং সার্কেলে মেলার আবহ তৈরি করতে চেয়েছি। কর অঞ্চলে মেলার চেয়ে কম সুযোগ-সুবিধা থাকলেও এসব জোন ও সার্কেলে রিটার্ন দিতে করদাতাদের তেমন কোনো অভিযোগ ছিল না বলে জানান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, আমরা এবার ব্যাংক সার্ভিসটা দিতে পারেনি। তবে সেটার জন্য করদাতাদের কোনো অভিযোগ ছিল না। এবার সরকার ই-চালান (ইলেকট্রনিক চালান) চালু করেছে, যার মাধ্যমে ব্যাংকেও করাদাতাদের যেতে হবে না। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই সবকিছু করতে পারবেন। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সচেতনতার বিষয়টি মাথায় রেখে আয়কর দিবসের আয়োজন করা হয়েছে। সাজসজ্জা ও অন্যান্য বিষয় এবার পরিহার করা হয়েছে। প্রতিবছর যে র‌্যালি হয়, সেটাও হবে না। এবারের আয়কর দিবসের প্রতিপাদ্য ঠিক হয়েছে- ‘উন্নত সেবার মাধ্যমে আয়করের আওতা বৃদ্ধি’। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের করসেবা যত স্বচ্ছ ও আধুনিক হবে, করদাতাদের কর দেয়া তত সহজ হবে। সেই সঙ্গে করের আওতা বৃদ্ধি পাবে, ট্যাক্স নেট বৃদ্ধি পাবে। অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, অপূর্ব কান্তি দাশ, হাফিজ মোর্শেদ এবং কাস্টম ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর