× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কলাপাড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ৫

বাংলারজমিন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
১ ডিসেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নে চাঁদার টাকা না দেয়ায় বিসমিল্লাহ ইটভাটার মালিক ও মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম হাওলাদার (৬৪ কে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গত রোববার রাতে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান ওরফে শিমু মিরা ও তার স্ত্রী সাবেক ইউপি সদস্য খাদিজা আক্তার এলিজাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আহত মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলমের বাড়ি চাকামইয়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে।  
জানা য়ায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম হাওলাদার তার মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ ইটভাটার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে তাকে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম হাওলাদারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পাশের আমতলী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
তার অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে ও আমতলী উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আবু সালেহ বলেন, ‘আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমু মিরা ও তার স্ত্রী এলিজার নেতৃত্বে চাঁদা না দিলে ব্যবসা করতে পারবে না বলে হুমকি দেয় ওই সন্ত্রাসীরা। শিমু মিরার নির্দেশেই স্থানীয় জহিরুল, সবুজ, খলিল, রুবেলসহ ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী রামদা দিয়ে কুপিয়ে আমার বাবাকে জখম করেছে। হামলার একপর্যায়ে বাবা বাঁচার জন্য দৌঁড়াতে চেষ্টা করলে পড়ে যায়। সন্ত্রাসীরা আমার বাবার ওপর হামলে পড়ে। ওদের হাতে থাকা রামদা দিয়ে কোপায়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এ সময় বাবা পড়ে গেলে তার ডান পা ইটের ওপর রেখে রামদার বাট দিয়ে পিটিয়ে থেতলে দেয়া হয়েছে। ভেঙে দেয়া হয়েছে তার বা পা ও বা হাত।

এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমু মিরার মুক্তির দাবিতে গতকাল বেলা ১১টায়  চেয়ারম্যানের দুই শতাধিক সমর্থক পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে।  

কলাপাড়া থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। রাতেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর