বঙ্গোপসাগর পাড়ে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলার চরে রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে প্রতারণা করায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিতে নিজেদের নাম পরিবর্তন করে হিন্দু নাম দিয়েছেন বলে জানা গেছে। রোববার বিকালে পশ্চিম সুন্দরবনের নলিয়ার ফরেস্ট অফিসের বনরক্ষরীরা এই ৫ প্রতারককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, জলিল, পিতা কাওসার সে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস কুমারঘাট গ্রামে মুমন মণ্ডলের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দিয়ে পাশ-পারমিট নিতে যায়। একই ভাবে জুয়েল সরদার, পিতা মতিয়ার সে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সেনপাড়া-কালিকাপুর গ্রামে ইমন মণ্ডলে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেয়, বেল্লাল, পিতা মোকলেস কাওসার সে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস কুমারঘাট গ্রামে রতন মণ্ডলের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেয়, ইয়াসিন সে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চাড়াবান্দা গ্রামে প্রণয় বিশ্বাসের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দেয় ও ইকরামুল পিতা জহুর সে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শিবনগর গ্রামে জুয়েল সরদার নামে জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি বন অফিসে জমা দেয়। এ ঘটনা সুন্দরবন বিভাগ নির্বাচন কমিশনের অন লাইনে গিয়ে এনআইডি নম্বর দিয়ে চেক করার সময় তাদের প্রতারণা ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ৫ প্রতারককে গ্রেপ্তার করে বন বিভাগ।
পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, করোনার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থী ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীদের দুবলার চরে রাস পূর্ণিমার পূজা ও জেয়ারে পুণ্যস্নানে যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বন বিভাগ। এজন্য বন বিভাগ রাস পূর্ণিমা ও পুণ্যস্নানে যাওয়া বিষয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখে সুন্দরবনে প্রবেশের পাস-পারমিট দেয়া হয়।
রোববার নলিয়ার ফরেস্ট অফিসের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীরা ৫ জনকে ধর্ম পরিচয় গোপন করে রাস পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে প্রতারণার আশ্রয় নিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রতারকরা হরিণ শিকার করতে পূর্ণিমার পূজা ও পুণ্যস্নানে যাওয়ার নামে সুন্দরবনে যাচ্ছিল বলেও জানান তিনি।