× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিঝুমদ্বীপে উচ্ছেদ আতঙ্কে ভূমিহীনরা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১ ডিসেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

নোয়াখালী জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে উচ্ছেদ আতঙ্কে রয়েছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপের ভূমিহীনরা। এ নিয়ে এলাকায় উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় অপ্রীতিকার ঘটনার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১নং ওয়ার্ডের আংশিক, ২, ৪, ৫, ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের পুরো এলাকার সীমানার মধ্যে বন বিভাগ নিজস্ব সম্পত্তি বলে বেশকিছু সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। মূলত এর পর থেকে ভূমিহীনদের মধ্যে উচ্ছেদ আতঙ্ক দেখা দেয়।
ভূমিহীনরা জানান, স্বাধীনতার পর থেকেই তারা বিভিন্ন সময়ে সরকার থেকে ৯৯ বছরের জন্য উক্ত সম্পত্তি  সেটেলমেন্ট লিজ বন্দোবস্ত দলিল মূলে নিজেদের নামে নামজারির মাধ্যমে ভোগ দখলে রেখেছেন। এমতাবস্থায় কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই বন বিভাগ সাইনবোর্ড লাগিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। সরজমিন পরিদর্শনকালে ভূমিহীন আবদুর রহিম, খালেদ, হুমায়ুনসহ অনেকে জানান, আমরা দুই পুরুষ ধরে এখানে বসবাস করছি।
সরকার কর্তৃক লিজ দলিল পাওয়ার পর যথারীতি আর.এস রেকর্ডও নিজেদের নামে হয়েছে। আমরা প্রতিবছর নিয়মিত খাজনা প্রদান করছি। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিঝুমদ্বীপের সচেতন নাগরিক সাইফুল ইসলাম জানান, যুগে যুগে দ্বীপের জনগণ বহু কষ্টে বসতবাড়ি, দালালকোঠা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে। এমতাবস্থায় হঠাৎ বন বিভাগ সাইনবোর্ড লাগানোর মাধ্যমে উক্ত সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারায় এলাকার মানুষ দিশাহারা। জেলা প্রশাসন থেকে লিজ থাকার পরও কিভাবে বন বিভাগ জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সাইনবোর্ড লাগিয়েছে তা বোধগম্য নয়। বিষয়টি সমাধান দরকার।  
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেরাজ উদ্দিন মানবজমিনকে জানান, ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় ৬টি ওয়ার্ডই বন বিভাগ নিয়ে গেলে ইউনিয়নের আয়তন কমে যাবে। ওইসব ওয়ার্ডের জনগণ থেকে ভ্যাট/ট্যাক্স আদায় করা যাচ্ছে না। ফলে আয় কমছে ইউনিয়ন পরিষদের এবং সার্বিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। সরকার বরাদ্দকৃত উন্নয়ন বাজেটও বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আমরা ওইসব এলাকায় রাস্তাঘাটসহ যেকোন উন্নয়ন কাজ করতে গেলে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ পর্যন্ত আমরা ৫টি মামলার আসামি হয়েছি। বিষয়টি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ উদ্যোগী হলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।
এ ব্যাপারে নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বিপুল কৃষ্ণ দাস জানান, কারো জায়গা দখল করে বা স্থানীয়দের ক্ষতি করে বন বিভাগ জাতীয় উদ্যান করবে না। বন বিভাগের আরো অনেক জায়গা আছে কাজ করার। নিঝুমদ্বীপের বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। রোববার সকালে এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলমের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি বলেন, ভূমিহীনরা লিজ নিয়ে থাকলে তাদের এভাবে উচ্ছেদ করার সুযোগ নেই। বিষয়টি আমরা বন বিভাগের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করবো।   
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর