খুলনার বটিয়াঘাটায় পুলিশের এএসআই’র শিশুপুত্র জশ মণ্ডল (৫) কে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। তবে হত্যা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকারী তার কাকা নাকি মা? এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মাঝে। নিহত শিশুটির কাকা অনুপ মণ্ডল ও তার মাতা তনুশ্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বটিয়াঘাটার ফুলতলা গ্রামের অমিত মন্ডল পুলিশ বাহিনীতে ঢাকার বাড্ডা থানায় এএসআই পদে চাকরি কর্তব্যরত। সঙ্গে থাকেন স্ত্রী তনুশ্রী মন্ডল ও একমাত্র পুত্র জশ মন্ডল (৫)। গত রোববার রাত ৮টার দিকে তনুশ্রী ও তার শিশুপুত্র জশ ফুলতলা গ্রামে রাসপুজায় বেড়াতে আসে।
সোমবার সকালে মেয়ের ফোনে এলোমেলো কথা শুনে জোনাকি মহলদার হালিয়া থেকে ছুটে আসেন সকাল ৯টার দিকে মেয়ের বাড়িতে। এ সময় কন্যাকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আর তনুশ্রীর পুত্র জশকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় শিশু জশ এর কাকা অনুপ মন্ডল পাশে বসেছিল। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বর বিপুল ইজারাদার বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অনুপ শিশুটিকে বটিয়াঘাটা হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। প্রদীপ মহলদার বলেন, অনুপ মন্ডলসহ তার পরিবারের সদস্যরা আমার নাতী জশকে হত্যা করেছে। তারা আমার কন্যাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। ইতিপূর্বে অনুপ মন্ডল আমার কন্যাকে একাধিকবার কুপ্রস্তাব ও জাপটে ধরেছিল। এমনকি হত্যার চেষ্টাও করেছে। অন্যদিকে, অনুপের পরিবারের অভিযোগ তনুশ্রীর পরকীয়ার বলি শিশু জশ। বটিয়াঘাটা থানার ডিউটি অফিসার এসআই তাওহিদ বলেন, নিহত শিশুটির কাকা অনুপ মন্ডল ও তার মাতা তনুশ্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল কবির জানান, শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা চলছে।