× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জমির রেকর্ড পরিবর্তনে বিপাকে আব্দুল ও আহাদ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১ ডিসেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

নিজের পৈতৃক জমি কেড়ে নেয়ার উদ্যোগে দিশাহারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বড় তল্লা গ্রামের উকিল পাড়ার আব্দুল আলী ও আহাদ মিয়া। জমি ফেরত পেতে আদালতে মামলা করেছেন এ দু-ভাই। জানা যায়, বড় তল্লা মৌজায় তাদের মালিকানাধীন  ৮৫৩ দাগের প্রায় ১৬ শতক জায়গা তাদের অজান্তে খাস জমি হিসেবে রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া পাশাপাশি আরো ৩ জনের মালিকানাধীন জমি খাস হিসেবে রেকর্ড হয়। এরমধ্যে ৮৬১ দাগের জমি খাস রেকর্ড মুক্ত করে এর মালিককে ফিরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু জমি ফেরত পাচ্ছেন না  আব্দুল ও আহাদ। নিজের জমি ফেরত চাইতে গেলে তাদেরকে নানা ভয়ভীতি দেখান সহকারী কমিশনার-ভূমি। ভ্রাম্যমাণ আদালত করে সাজা দেয়ার হুমকি দেন।
তারা জানান- তাদের এই জমি এখন ভূমিহীনদের দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জমি কেড়ে নেয়া হলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোনো উপায় থাকবে না তাদের। গত ১৫ই নভেম্বর জেলা জজ আদালতে জায়গার মালিকানা দাবিতে মামলা করেছেন আব্দুল আলী ও আহাদ মিয়া। আহাদ মিয়া বলেন, আমার বড়মা খয়মননেছা পাকিস্তান  আমলে আব্দুর রহমানের কাছ থেকে ৩৮৮ দাগের ১৬ শতক জায়গা ক্রয় করেন। তার মৃত্যুর পর থেকে ওয়ারিশ সূত্রে আমরা জায়গার ভোগদখল করছি। এক সময় জায়গাটি খাসে পরিণত হলে স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের জুন মাসে ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জায়গার মালিকানা ফিরিয়ে দেয়। এরপর থেকে জায়গাটি ভোগদখলসহ ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত আমরা খাজনা পরিশোধ করি। পরে বিএস খতিয়ানে আমাদের অজান্তে আবার ওই জায়গা খাস হিসেবে রেকর্ড করে ফেলা হয়। পুনরায় নতুন করে জায়গার খতিয়ান সৃষ্টি করলে পুরাতন ৩৮৮ দাগের স্থলে নতুন দাগ নম্বর হয় ৮৫৩। তিনি আরো জানান, সরকারি রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত হলেও তাদের পাশের এক জমির মালিককে তার নামে জমির স্বত্ব ফিরিয়ে দেয়া হয়। জমি ফেরত না পেলে তাদের চলাচলের কোনো উপায় থাকবে না বলেও জানান আহাদ মিয়া। ওদিকে একই দাগের ১৩ শতাংশ জমিতে ভোগদখলে থাকা সিরাজ মিয়াকে তার জমি ছেড়ে দিতে বলেছে প্রশাসন।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভূমি ফিরোজা পারভীন বলেন, জায়গাটি তাদের ভোগদখলে ছিল। বিএস দাগে সরকারের নামে লিপিবদ্ধ হওয়াতে এখন আমরা নিয়েছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর