কমলগঞ্জে শুরু হয়েছে মণিপুরী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব “রাসলীলা”। সোমবার দুপুর ১টায় রাখালনৃত্যের মধ্য দিয়ে মহারাসলীলা শুরু হয়েছে। এ বছর কমলগঞ্জের মাধবপুর জোড়া মন্ডপ প্রাঙ্গনে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সম্প্রদায়ের ১৭৮তম ও আদমপুরের তেতইগাঁও সানাঠাকুর মন্ডপ প্রাঙ্গণে মনিপুরী মী-তৈ সম্প্রদায়ের ৩৫তম মহারাসোৎসব হচ্ছে। সোমবার দুপুর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মাধবপুরের জোড়ামন্ডপ ও আদমপুরের সানাঠাকুর মন্ডপে হয়েছে রাখাল নৃত্য। রাখাল নৃত্যের বিভিন্ন ধাপে রাধাকৃষ্ণের শৈশব, কৈশোর ও যৌবনকালের বিভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। নিজস্ব পোশাকে সজ্জিত হয়ে মণিপুরী তরুণ-তরুণীরা এতে অংশ নেন। রাত ১২টা থেকে শুরু হবে মণিপুরী নৃত্যের ধ্রুপদ ভঙ্গিমায় রাধাকৃষ্ণের রাসনৃত্য। এটা চলবে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত।
করোনার কারণে এ বছর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে রাসোৎসব করার কথা থাকলেও সোমবার সকাল থেকে রাসোৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজারো মানুষের ঢল নামে।
মেলাতে আসা অদিকাংশ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। তবে রাস উৎসব ঘিরে এবার মেলা বসানো হয়নি। রাসোৎসব ঘিরে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে উভয় মন্ডপ।সাদা কাগজের নকশায় নিপুন কারু কাজে সজ্জিত মন্ডপগুলোতে রাতভর নৃত্য চলবে।
একদিনের এই উৎসবে মহারাত্রির পরশ পাওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষের মিলনতীর্থ পরিনত হয় মাধবপুর জোড়া মন্ডপ আর আদমপুরের মন্ডপগুলো। মন্ডপে মনিপুরী শিশু নৃত্যশিল্পীদের সুনিপুন নৃত্যাভিনয় রাতভর মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের। মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও মেতে উঠে একদিনের এই আনন্দে। মহারাত্রির আনন্দের পরশ পেতে আসা দেশের বিভিন্ন স্থান হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ নানা পেশার মানুষের পদচারনায় সোমবার সকাল থেকে মুখরিত হয়ে উঠে মণিপুরী পল্লীর এ দুটি এলাকা।