× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রয়টার্সের রিপোর্ট / ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে ইরানের এক কমান্ডারকে হত্যার অভিযোগ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) ডিসেম্বর ১, ২০২০, মঙ্গলবার, ৩:০২ পূর্বাহ্ন

ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাকরিজাদেহকে হত্যার কয়েকদিনের মাথায় ইরাক-সিরিয়া সীমান্তে ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের এক কমান্ডারকে বিমান হামলায় হত্যা করা হয়েছে। শনিবার বা রবিবারের মধ্যে এ হামলা হয়েছে বলে ধারণা করছেন ইরাকি নিরাপত্তা ও স্থানীয় মিলিশিয়া কর্মকর্তারা। মৃত ওই কমান্ডারের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। হামলার সময় তাকে বহনকারী গাড়িতে আরো ৩ জন ছিলেন। হামলায় তারাও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ বিষয়ে ইরাকের নিরাপত্তা বিষয়ক দু’জন কর্মকর্তা পৃথকভাবে জানান, ওই গাড়িতে অস্ত্র বহন করা হচ্ছিল।  গাড়িটি ইরাকি সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ার ভূখন্ডে প্রবেশের পর তাতে হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর ইরান সমর্থিত ইরাকি আধা-সামরিক বাহিনী মৃতদেহগুলো উদ্ধারে সহায়তা করে। তবে ওই ঘটনার সঠিক সময় বা স্থানের বিস্তারিত কোন তথ্য জানাতে পারেননি ওই দুই কর্মকর্তা।
স্থানীয় সামরিক বাহিনী ও মিলিশিয়ার পক্ষ থেকে এ বিমান হামলার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই কমান্ডার হত্যার বিষয়টি সত্যতা সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করতে পারে নি। এর মাত্র কয়েকদিন আগে তেহরানে শীর্ষক পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাকরিজাদেহকে এক সন্ত্রাসী হামলায় হত্যা করা হয়। কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও এর জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে ইরান।
গত সপ্তাহে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি স্থাপনা ও সিরিয়ার বেশ কিছু স্থাপনাকে টার্গেট করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে ইঙ্গিত মেলে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার আগেই ওই অঞ্চলে ইরানের যেসব স্থাপনা আছে, তাতে হামলা চালানোর নীতি অবলম্বন করেছে ইসরাইল। ইরাকি কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের আগে আগে এসব হামলা জোরালো হতে পারে। কারণ, ইরাকি কর্মকর্তারা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের চেয়ে জো বাইডেন ইরান ইস্যুতে নমনীয় হতে পারেন। এ বছরের জানুয়ারিতে আমেরিকার চালানো ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষক সামরিক কর্মকর্তা কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকে নেতা আবু আল-মুহান্দিসকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই ক্ষত এখনও ইরানে এবং ইরাকে বিদ্যমান। কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার বদলা নিতে ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বেশ কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তাতে অবকাঠামো খাতে বড় রকমের ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর