নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাজরভাঙা গ্রামে নাসিম উদ্দিন (৫৫) নামে এক প্রবীণ শিক্ষককে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলার অন্যতম আসামি এরশাদ আলী (৩৫) নামে এক স’ মিল মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতিত শিক্ষক নাসিম উদ্দিন গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে নির্যাতনের অভিযোগ করে মান্দা থানায় মামলা করেন। এই মামলায় সোমবার দিবাগত রাতে এরশাদ আলীকে উপজেলার পাজরভাঙা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সে উপজেলার পাজরভাঙা গ্রামের দিলশাদ আলীর ছেলে। নির্যাতনের শিকার প্রবীণ শিক্ষক নাসিম উদ্দিনের অভিযোগ, রাজশাহীর বাগমারা সদরের নিজ বাড়ি থেকে সমপ্রতি নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাজরভাঙ্গা গ্রামে মেয়ের বাড়ি আসেন তিনি। এলাকায় অবৈধ স’ মিলের শব্দ দূষণ, কাঠের গুড়া ও ধূলোবালিতে মানুষের ভোগান্তি দেখে গত বুধবার বিকালে প্রতিবাদ করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা ও নির্যাতন চালায় করাত কলের মালিক দেলশাদ আলী মণ্ডলের দুই ছেলে এরশাদ আলী মণ্ডল, আব্দুর রাজ্জাকসহ তাদের সহযোগীরা। নির্যাতনের একপর্যায়ে তাকে মেরে বিবস্ত্র করে ফেলা হয়।
এ সময় গ্রামবাসী ও আত্মীয়-স্বজনরা এগিয়ে এসে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে।
স’ মিল মালিক দেলশাদ হোসেন মণ্ডলের দাবি, আইন মেনেই তার করাত কল করা হয়েছে। প্রায় ৩৫ বছর ধরে পাজারভাঙ্গায় স’ মিলটি চালিয়ে আসছেন তারা। কোনো দিনই কারো সমস্যা হয়নি। মূলত নাসির উদ্দিনের জামাতা রেজাউল ইসলামের কাছে পাওনা রড সিমেন্টের ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এই উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেদিন তাদের হয়রানি করায় হাতাহাতি হলেও শিক্ষক নাসির উদ্দিনকে বিবস্ত্র করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স’ মিল মালিক দিলশাদ আলী।
মান্দা থানার ওসি মো. শাহীনুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় প্রথমে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয় গত বুধবার। পরে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষক বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ আরো অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার অন্যতম আসামি এরশাদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি শাহিনুর রহমান।