উত্তর কলকাতার বাগিচা রেস্টুরেন্টের পিছনের একটি তিনতলা বাড়ি। এই বাড়িতেই মঙ্গলবার গভীর রাতে এই সময়ের বঙ্গ রাজনীতির সবথেকে আলোচিত নাটকে যবনিকা নামলো। বিগত কয়েকমাস ধরে তৃণমূলের ডাকসাইটে নেতা, রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী দলের সঙ্গে সংশ্রব ছিন্ন করে অরাজনৈতিক সভা করে আসছিলেন। বাংলাজুড়ে পোস্টার, ব্যানার পড়ছিল দাদার অনুগামীদের নামে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর তাঁকে কোনঠাসা করছেন, শুভেন্দুর অভিযোগ ছিল এটাই। মাত্র ক’দিন আগে শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করায়, সব পদ থেকে ইস্তফা দেয়ায় জল্পনার পাখি ডানা মেলে। বিজেপিও আশা করে যে, শুভেন্দু তাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার নির্দেশে উত্তর কলকাতায় বৈঠকে বসেছিলেন শুভেন্দু, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর। মধ্যস্থতায় ছিলেন তৃণমূলের দুই প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায় ও সৌগত রায়। সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে রফাসূত্র বেরোয়। শুভেন্দু তার ছেড়ে যাওয়া পাঁচটি জেলার অধিকাংশতেই পর্যবেক্ষক পদ ফিরে পাচ্ছেন। শুভেন্দুর দাবি অনুযায়ী ৬৫টি নয়, তবে প্রায় ৫২ থেকে ৫৫টি আসন শুভেন্দুর নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এই রফাসূত্র বেরোনোর পর সৌগত রায় সরকারিভাবে বলেন, শুভেন্দু তৃণমূলেই ছিলেন, থাকবেন। জানা গেছে, বুধবারই শুভেন্দুকে সব পদ ফিরিয়ে দেয়া হবে।
।