× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রৌমারীর ৩ ইউনিয়নে নির্বাচন / আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

বাংলারজমিন

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
৩ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার

পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, গভীর রাত পর্যন্ত মাইকে প্রচার, প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের লোকজনদের হুমকি, মিথ্যা আশ্বাস, বিভিন্ন প্রকার গুজব ছড়ানো, নির্বাচনী ফলাফল রদবদলের হুমকিসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে সরকারদলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। বুধবার ইউএনও অফিসের হলরুমে এক মতবিনিময় সভায় এ অভিযোগ তোলেন অন্য প্রার্থীগণ।
উপজেলা নির্বাচন কমিশনার এএসএম সাইফুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল ইমরান, সহকারী পুলিশ সুপার (রৌমারী সার্কেল) মো. মাহফুজার রহমান, ওসি মোনতাছের বিল্লাহসহ ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীগণ।
উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমান দুলাল বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় সরকারদলীয় প্রার্থী ফজলুল হক ম-ল ভোটারদের সরকারি ঘর দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিচ্ছেন এবং বলছেন তাকে ভোট দিলে ঘর পাবেন, না দিলে পাবেন না। একই এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, তার লোকজনদের বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়া হচ্ছে। দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ-উল হাসান লালন বলেন, গুজব তোলা হচ্ছেÑ নৌকার ভোটারদের টাকা, শাড়ি-লুঙ্গি দেয়া হবে। রাতের অন্ধকারে আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। তিনি প্রতিজন প্রার্থীকে হটলাইন নম্বর দেয়ার আবেদন জানান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির হোসেন বলেন, গভীর রাত পর্যন্ত তারা মাইক বাজাচ্ছেন অথচ আমরা বাজালে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এমন অভিযোগ আরো তোলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল গণি, আব্দুর রশিদ, বিএনপি প্রার্থী নুর আলম হিরো, আব্দুস সাত্তার, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন মুকুলসহ অনেকে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সরকারি দলের প্রার্থী আলহাজ আব্দুল কাদের ও রেজাউল ইসলাম।
রৌমারী থানার ওসি মোনতাছের বিল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, গুজবে কান দেবেন না। আমরা যথেষ্ট তৎপর রয়েছি। সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজার রহমান বলেন, প্রায় সাড়ে ৫ শ’ সশস্ত্র স্পেশাল ফোর্স আসছে নির্বাচনী এলাকায়। ফলে ভোট কারচুপি কিংবা অন্যকোনো ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ইউএনও আল ইমরান বলেন, যেখানে ১ জন ম্যাজিস্ট্রেট দিলে চলতো সেখানে ৩ জন ম্যাজিস্ট্রেটের ব্যবস্থা রয়েছে। অতএব চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে প্রার্থীদের নির্ভয় দেন তিনি। নির্বাচন কমিশনার সাইফুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। এরপর থেকে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।   
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর