× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে খুনের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
৩ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার

সিলেটে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফরহাদ হোসেনকে খুনের ঘটনায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আরো একজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। গতকাল সিলেট জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরিফ উদ্দিন এ রায় প্রদান করেন। ঘোষিত রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিলেটের ওসমানীনগর থানার রনাগলপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে ফয়ছল আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার থানার দুর্গাপুর গ্রামের শৈলেন্দ্র দাসের ছেলে অমল কুমার দাস, ঢাকা জেলার কদমতলা থানার শ্যামপুর পালপাড়া গ্রামের হরিপদ দাসের ছেলে সুমন চন্দ্র দাস। রায়ের সময় তিনজনই পলাতক ছিলেন। খালাসপ্রাপ্ত আসামি হলেন- সিলেট নগরের বিমানবন্দর থানার খাসদবির এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে ফরহাদ আহমদ। রায়ের সময় তিনি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র ২০১২ সালের ৬ই আগস্ট রাতে সিলেট নগরীর মাছুদিঘির পাড়ে প্রবাহ-৬০ নম্বর বাসার কলোনির একটি রুমে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার বাইশি দক্ষিণ পাড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ হোসেনকে নৃশংসভাবে খুন করে মৃতদেহ একটি কাঁথা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার লামাবাজার ফাঁড়ির এস আই খায়রুল ইসলাম বাদল বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দাখিল করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এস আই রকিবুল হক ২০১৫ সালের ১লা জানুয়ারি ৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ২০১৬ সালের ১লা জানুয়ারি ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও ২৭ সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গতকাল তিনজনকে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্থ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন  পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মো. মফুর আলী ও আসামি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট লাভলী আক্তার, এডভোকেট আব্দুস সোবহান, এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর