আওয়ামী লীগের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার ভোটগ্রহণ হবে ২৮শে ডিসেম্বর। কিন্তু আওয়ামী লীগে কোন্দলের পাশাপাশি রয়েছে ‘বিদ্রোহ’। আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র রবি’কে দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় মনোনয়ন দিলেও নিজ দলে রয়েছে আরও দু’জন প্রার্থী। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সাবেক ও বর্তমান এমপি’র অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থীসহ আরো দু’জন তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন- গোলাম আজম নয়ন ও শরীফুল ইসলাম টিপু। এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে যে, একজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও অপরজন স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বর্তমান মেয়র রবি বলেন, আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অফুরন্ত ভালোবাসায় সকলের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করায় দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বারের মতো আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, সাবেক এমপি ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারার অনুসারী হওয়ায় আমাকে নির্বাচনে বেকায়দায় ফেলতে উঠে পড়ে লেগেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী।
এদিকে, বিগত নির্বাচনে বিএনপি’র দলীয় মেয়র আসাদুল হক আসাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি বিএনপি।
তাই এবার দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানকে। মনোনয়ন ঘিরে ইতিমধ্যে স্পষ্ট হয়েছে দলীয় কোন্দল, বিভাজন, রয়েছে বিতর্ক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার আসাদকে মনোনয়ন না দেয়ার পেছনে রয়েছে দলীয় কোন্দল। আসাদ বিএনপি’র সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফার অনুসারী। আর ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগ হয়ে বিএনপিতে আসা আল মামুন খান জেলা বিএনপি’র বর্তমান আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তিনিই প্রভাব খাটিয়ে মামুনকে মনোনয়ন পাইয়ে দিয়েছেন বলে নেতাকর্মীরা মনে করছেন। আর এই কারণেই নির্বাচন ঘিরে পুঠিয়ার বিএনপিতে দেখা দিয়েছে বিভাজন।