× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কাল থেকে দেশে করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৪ ডিসেম্বর ২০২০, শুক্রবার

দেশে আগামীকাল থেকে করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এমনই তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, শুরুতে দেশের ১০টি জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সন্দেহভাজন করোনা রোগী, যাদের উপসর্গ রয়েছে, শুধু তাদেরই অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য সরকার এখনো কোনো ফি নির্ধারণ করেনি।
জেলা সদর হাসপাতালে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে। যে ১০টি জেলায় শনিবার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু হবে সেগুলো হচ্ছে- গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, যশোর, মেহেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর ও সিলেট। কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে কি না, সেটি অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়। এই পরীক্ষা করা যায় ১৫ থেকে ৩০ মিনিটে।
অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, অ্যান্টিজেন-ভিত্তিক পরীক্ষার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া শেষ হয়েছে। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মানসম্মত কিট আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব জেলায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করা হবে। উপসর্গহীন সন্দেহভাজন রোগীদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হবে না।
সরকার গঠিত নমুনা পরীক্ষা সমপ্রসারণ নীতিমালা কমিটির প্রধান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী মানবজমিনকে বলেন, কমিটি অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালুর জোরালো সুপারিশ করেছিল। খণ্ডিতভাবে শুধু অ্যান্টিজেন না, একসঙ্গে অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালু করা প্রয়োজন ছিল। শুধু ১০ জেলা নয়, এই টেস্ট দ্রুত সারা দেশে চালু করতে হবে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আরটিপিসিআর টেস্ট যেখানে আছে অ্যান্টিজেন টেস্টও সেখানে থাকতে হবে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালায় এই পরীক্ষা বেসরকারিতেও থাকা দরকার বলে তিনি মত দেন।
দেশে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা কম হওয়া নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, দ্রুত ও সহজে ফল জানার অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু হলে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়বে। এটি করোনা রোগী শনাক্ত, মহামারিতে নেয়া পরিকল্পনাসহ নানা নীতি-নির্ধারণেও সাহায্য করবে। সরকারের কোভিড-১৯ পরীক্ষা নীতিমালায় বলা হয়েছে, অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করতে বিশেষায়িত কোনো ল্যাবরেটরির প্রয়োজন হয় না। তবে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার নির্দিষ্টতা প্রায় শতভাগ হলেও সংবেদনশীলতা কম। ফলে কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ ফলাফল পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে পিসিআর বা জিন এক্সপার্ট পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে। আর অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় পজেটিভ হলে ওই ব্যক্তিকে নিশ্চিত পজেটিভ হিসেবে গণ্য করা হবে। ছয় মাস আগে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি করোনা শনাক্তে এতদিন ধরে চলা রিভার্স ট্রান্সক্রিপটেজ পলিমারেজ রি-অ্যাকশন (আরটিপিসিআর) পরীক্ষার পাশাপাশি অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালুর পক্ষে মত দেয়। কমিটির বিশেষজ্ঞরা অ্যান্টিবডি পরীক্ষা চালুরও সুপারিশ করেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনার র‍্যাপিড টেস্ট বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করে গত ৯ই জুলাই মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। নমুনা পরীক্ষা সমপ্রসারণ নীতিমালার ওপর মতামত দেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে। একাধিক সভার পর কমিটি ২৩শে আগস্ট তাদের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব জমা দেয়। কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে দেশে অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালুর জোর সুপারিশ করে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য কোন কিটটি সবচেয়ে ভালো বা কার্যকর, সেটি নিশ্চিত না হওয়ায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষা শুরু করতে দেরি হয়েছে। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত দু’টি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে দেশে করোনার অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষা একসঙ্গে চালু করা উচিত ছিল বলে জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর