× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আট বছর পর গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
৪ ডিসেম্বর ২০২০, শুক্রবার

আট বছর আগে আলোচিত মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদের মামলার  চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন মৃধার প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে গতকাল কমিশন এ মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়। শিগগিরই বিচারিক আদালতে তা জমা দেয়া হবে।
২০১২ সালে দুদক প্রথম গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলা করে। তাতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তার ৩ কোটি ১০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের প্রাথমিক প্রমাণ দেয়া হয়। পরে এ মামলার বিরুদ্ধে মনির উচ্চ আদালতে রিট করলে তদন্ত কাজ স্থগিত থাকে। ২০১৮ সালে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে মামলার তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে তার ওই টাকার কোনো বৈধ উৎস খুঁজে না পাওয়ায় অভিযোগপত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।

দুদকের সচিব দিলোয়ার বখত জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হলেও নতুন করে তার বিরুদ্ধে সম্পদের অনুসন্ধান চলছে।
গত ২১শে নভেম্বর সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার নিজ বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

এ ছাড়া, তার বাড়ি থেকে অনুমোদনহীন দু’টি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়।
যার প্রতিটির বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। তার ‘অটো কার সিলেকশন’ নামের গাড়ির শোরুম থেকে আরো তিনটি অনুমোদনহীন বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব জানায়, ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির। একটি গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। মনির মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী ও স্বর্ণের চোরাকারবারি। এ থেকেই মনির পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ হিসেবে। আটকের পর গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‌্যাব। এ সময় র‌্যাব বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা ও মাদক আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর