পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটার ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজ বা নাইসেডে এখন কালান্তক করোনার ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে রমরমা। হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থার এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ ভারতীয়। প্রথম দুটি পর্যায়ের সফল ট্রায়ালের পর কলকাতায় এই তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধানখার গত বুধবার। ভারতে সারা দেশের আঠাশটি জায়গায় এই ট্রায়াল একই দিনে শুরু হয়েছে, ব্যবস্থাপনায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। কলকাতায় প্রথম টিকাটি নেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের মন্ত্রী ও প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। কিন্তু, ঘটনাচক্রে তিনি দ্বিতীয় গ্রহীতা হয়ে যান। প্রথম টিকাটি নেন বেলেঘাটার যুবক বিপ্লব যশ। ফিরহাদ হাকিম হলেন দেশের দ্বিতীয় মন্ত্রী যিনি এই ট্রায়ালে যোগ দেওয়ার সাহস দেখালেন। প্রথম মন্ত্রী যিনি টিকা নেন, তিনি হলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী অনিল ভিজ। ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে মোট আঠাশ হাজার পাঁচশো জনকে টিকা দেওয়া হবে, এর মধ্যে কলকাতার ১ হাজার জন। হায়দরাবাদ থেকে কলকাতায় ট্রায়ালের জন্যে একহাজার ভায়াল ভ্যাকসিন উড়িয়ে আনা হয়েছে যেগুলি কঠোর নিরাপত্তায় নাইসেডে রাখা রয়েছে হিমাঙ্কের নিচে মাইনাস চার ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আই সি এম আরের গাইডলাইন অনুযায়ী যাঁদের টিকা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের টিকার গুনাগুন এবং সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার কথা জানানো হচ্ছে। এরপর তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা। কোমর্বিডিটি টেস্ট করা হচ্ছে। কোনও কোমর্বিডিটি থাকলে তিনি টিকা নিতে পারছেন না। যেমন ৬২ বছরের ফিরহাদ হাকিমের কোনও কোমর্বিডিটি ছিলনা। টিকা নেওয়ার আঠাশ দিন পরে দ্বিতীয় শটটি দেওয়া হবে। তারপর গ্রহীতাকে একবছর পর্যবেক্ষন করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে যে স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নিচ্ছেন তাঁরা সুস্থই আছেন। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, টিকা নেওয়ার পরে তিনি কোনও অসুবিধা অনুভব করছেন না।।