× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শায়েস্তাগঞ্জে ধানের বাম্পার ফলন

বাংলারজমিন

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
৪ ডিসেম্বর ২০২০, শুক্রবার

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কাটা চলছে পুরোদমে, ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষকরা। সারা বছরের ধানের খোরাক অগ্রাহায়ন মাসের ধান থেকেই রাখা হয়। সকালে কুয়াশা থাকলে ও শায়েস্তাগঞ্জে ইদানীং ভালো রোদ থাকায় ধান শুকাতে তেমন বেগ পোহাতে হয়নি কৃষকদের।
প্রতি একর ধান কাটা হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়। আবার অনেকেই জনপ্রতি ৫শ টাকা পারিশ্রমিকে ধান কাটাচ্ছেন। ধান কাটার শ্রমিক কিছু সংকট থাকায় অনেকেই পাকা ধান সঠিক সময়ে বাড়িতে আনতে পারছেন না, এজন্য অনেককেই আবার বেশি টাকা শ্রমিককে দিয়ে কাটাচ্ছেন ধান। তবে এবার আমন ধানের বেশ ভাল ফলন হয়েছে, পাশাপাশি বাজারে ও ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকদের মুখে দেখা গেছে তৃপ্তির হাসি। অগ্রাহায়ন মাসে দম নেই বাড়ির কৃষাণীদের ও।
পাকা ধান দিনভর সিদ্ধ দিয়ে একটানা ৪-৫ দিন রোদে শুকিয়ে গোলাভরে রাখছেন তারা। আবার ধানের খড় ও শুকিয়ে মোড়া করে রাখছেন গরুর খাবারের জন্য।
শায়েস্তাগঞ্জে আমন ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা মণ, আবার চিকন ধান বিক্রি হচ্ছে ১৫শ টাকা দরে। কিন্তু শায়েস্তাগঞ্জে এবার বন্য শুকরের উৎপাতের কারণে অনেক কৃষকই পরিমাণ মত ধান ঘরে তুলতে পারেননি। উপজেলার সুতাং গ্রামের কৃষক লাল মিয়া জানান, তিনি এক একরে ১৫ মণ ধান পেয়েছেন, তুলনামূলক ভাল ফলন হয়েছে।
উপজেলার নুরপুর গ্রামের এলিম মিয়া জানান, বন্য শুকর তার বর্গা করা আড়াই একর ধান নস্ট করে ফেলছে, ফলে তিনি কাংখিত ফসল ঘরে তুলতে পারেননি। তবে সুতাং অঞ্চলের বাহিরে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে বিধায় তাদের মুখে রয়েছে হাসি।
উপজেলার উবাহাটা গ্রামের কৃষক মহিবুর রহমান মোরাদ বলেন আমানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। বাজারে দাম বেশি আর শ্রমিক সংকট না থাকায় কৃষকরা খুব খুশি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে একই চিত্র। মনের আনন্দে ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দ্বায়িত্ব) সুকান্ত ধর বলেন , শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।উপজেলায় আমার ধানের জমি ২ হাজার ৭শ হেক্টর। এবার ধানের দাম বেশি থাকায় কোন ফসলী জমিই ফাকা নেই।
এ পর্যন্ত উপজেলায় ৩৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এবার আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৩শ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়ে ধান উৎপাদন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, শায়েস্তাগঞ্জে শ্রমিক সংকট যাতে না দেখা দেয় সেজন্য দুটি কম্বাইন্ড মেশিন দেয়া আছে, একটি শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা ও অন্যটি ব্রাক্ষণডুরা ইউনিয়নে আছে, তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর