মমতা বন্দোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বলেছিলেন, লোকে তেলেভাজার দোকান দিয়ে তিনতলা বাড়ি করছে। এটাও তো একটা শিল্প। কথাটা বলে তিনি প্রবল সমালোচনার শিকার হন। চপ-মুড়ি শিল্প নামে একটা ব্যাঙ্গাত্মক লবজও চালু হয়ে যায়। এবার সত্যিই চপ-মুড়ির স্টল বসিয়ে দিল মমতা সরকার। স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠী পরিচালিত এই স্টলগুলিতে মিলছে আলুর চপ, বেগুনি, পিয়াঁজি, ডিমের ডেভিল, মুড়ি। আলুর চপ, বেগুনি, পিয়াঁজির দাম দশ টাকা করে। ডিমের ডেভিল কুড়ি টাকা।
আর আছে ঠোঙায় ভরা গ্রাম বাংলার মুড়ি। ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে ফুলকপি আর ধনেপাতার বড়া। রাজারহাট-সল্ট লেক এলাকাগুলিতে আপাতত ছটি দোকান দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এই চপ-মুড়ি প্রকল্প। এই স্টল ছড়িয়ে দেওয়া হবে বিকাশ ভবন, হিডকো, সিটি সেন্টার, নবদিগন্ত এবং বিগ বাজার এলাকায়। পঞ্চায়েত দপ্তরের সচিব সৌম্যজিৎ দাস জানাচ্ছেন, অদূর ভবিষ্যতে লেপচা বোর্ডের সহযোগিতায় লেপচা মেয়েরা তৈরি করবে মোমো। বিক্রি হচ্ছে ভালোই। ফাস্টফুড খেয়ে খেয়ে ক্লান্ত জিভ বাংলার নিজস্ব খাবার পেয়ে খুশি।