× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কুমড়ো বড়িতে চলে ওদের জীবিকা

বাংলারজমিন

চলনবিল (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
৫ ডিসেম্বর ২০২০, শনিবার

কুমড়ো বড়ি তৈরি করে চলনবিল এলাকার প্রায় তিন শতাধিক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে আসছে যুগের পর যুগ। যেন কুমড়ো বড়িইে ওদের জীবন। কুমড়ো বড়ি হচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি আবহমান বাংলার ঐতিহ্য বহন করে। সুস্বাদু এ খাবারটি বিভিন্ন তরকারির সঙ্গে রান্না করে খাওয়ার প্রচলন চলে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। খাবারে প্রিয় মানুষের বাড়তি রুচি এনে দেয় সুস্বাদু এই কুমড়ো বড়ি।
চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ওলীকুল শিরোমনি শাহ শরীফ জিন্দানী (র.) এর পুণ্যভূূমি নওগাঁ গ্রামে প্রায় বিগত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা হচ্ছে কুমড়ো বড়ি। এ ব্যবসা করে এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার কুমড়ো বড়ি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।

কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়, মাষকলাই ডালসহ আরো কিছু উপাদান। প্রধান উপাদান ডাল আর চাল কুমড়া; খাবারে আলাদা স্বাদ আনতে যার নেই কোনো জুড়ি। যেমনি তার নাম, তেমনি তার স্বাদ। এখানকার নারীদের ব্যস্ততা যেনো এই পণ্যটি ঘিরেই। মধ্যরাত থেকে ভিজিয়ে রাখা মাষকলাইয়ের ডাল ভোররাত থেকে শিল পাটায় মিহি করে বাটা হয়। এরপর কুটে রাখা চাল কুমড়াসহ মশলা মিশিয়ে সকাল থেকে কুমড়া বড়ি তৈরি শুরু হয়। সারা বছরই কমবেশি কুমড়া বড়ি তৈরি হলেও শীত মৌসুমে এর চাহিদা থাকে বেশি। বাজারে চাহিদা এবং ভালো দাম থাকায় অনেক পরিবারে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা।  
কুমড়া বড়ি তৈরির কারিগর নওগাঁ গ্রামের আবদুল করিম ও আইযুব আলী বলেন, পাইকারী ৫৫ টাকা দরে কিনে খুচরা বাজারে ৬৫-৭০ টাকা দরে হাট-বাজারে বিক্রি হয়ে থাকে। আরো বলেন, ১ বস্তা ডাল থেকে যে পরিমাণ বড়ি তৈরি হয় তাতে খরচ বাদে ৭০০-৮০০ টাকা লাভ হয়। কুমড়া বড়ির সঙ্গে জড়িত নারী শ্রমিক শরিফা, সেলিনা, মিনা ও আয়েশা খাতুন জানান, সারাদিন কাজ করে ১৫০-২০০ টাকা মজুরি পাই। অভাবের সংসার বাড়তি আয়ের জন্য সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে কুমড়ো বড়ি তৈরি করি। শরিফা ও সেলিন দের মতো অত্র অঞ্চলের শতাধিক নারী শ্রমিক এ পেশার সঙ্গে জড়িত থেকে করছে সংসারের বাড়তি আয়। কুমড়া বড়ির কারিগর আলামিন হোসেন বলেন, প্রায় ২৫-২৬ বছর যাবৎ এই ব্যবসা করছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে আগের চাইতে অনেক ভালো আছি। কুমড়া বড়ি সুস্বাদু হওয়ায় এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে পুঁজি সংকটের কারণে চাহিদামতো তৈরি করতে পারছি না। অর্থের অভাবে এনজিও থেকে বেশি সুদে টাকা নিয়ে কুমড়ো বড়ি তৈরি করছি। লাভের সিংহ ভাগই  সুদ গুণতে হচ্ছে আমাদের।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর