× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উখিয়া ছাত্রলীগ নেতার এ কী কাণ্ড?

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে
(৩ বছর আগে) ডিসেম্বর ৫, ২০২০, শনিবার, ১২:০০ অপরাহ্ন

উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আজাদের যৌন লালসার শিকার হয়েছে অর্ধশত নারী। এদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি প্রত্যাশী। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এসব নারীদের আবাসিক হোটেল বা নির্জন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন। এরকম অসংখ্য নারীদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভাইরাল হওয়া ছবিতে অভিযুক্ত ইব্রাহীম আজাদ একাধিক নারীর সঙ্গে এমন দৃশ্য ফুটে উঠেছে। এছাড়াও  রোহিঙ্গা মেয়েদের সঙ্গে অন্তরঙ্গভাবে ভিডিও কলে কথা বলার ছবিও রয়েছে।

জানা যায়, বর্তমান উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আজাদ দলীয় পদ ব্যবহার করে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকার মেয়েদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর কক্সবাজারের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করতেন দিনের পর দিন। কেউ তার প্রতিবাদ করতে গেলে সে নিজেকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে হুমকি দিতেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজমুল আলম সিদ্দিকীর বিশেষ সুপারিশে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন ইব্রাহিম আজাদ।  অভিযোগ রয়েছে, কেন্দ্রীয় জেলার বিতর্কিত কয়েকজন নেতাকে ম্যানেজ করে একাডেমিক কোন শিক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের পদ ভাগিয়ে নেন ইব্রাহিম আজাদ। একাডেমিক শিক্ষা না থাকলেও ফেসবুকে বিভিন্ন নেতার সঙ্গে ছবি দিয়ে তাদের বন্দনা করতেন এই আজাদ।
এসব ফেসবুক প্রচারণায় তার পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকী নাজমুল আলম ইব্রাহিম আজাদকে সাধারণ সম্পাদক করার জন্য অনড় অবস্থানে ছিলেন। তার আবদার রক্ষা করতে গিয়ে চরম বিতর্কের মুখে পড়েন তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও জেলা সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়।

এদিকে চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন মেয়েকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে যাওয়া, শপিংমলে নিয়ে যাওয়া ও বিভিন্ন অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে কক্সবাজার জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, এসব এডিট করা ছবি। কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান জানান, কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না। সংগঠনের কারো বিরুদ্ধে এ ধরণের কোন অভিযোগ এলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, মাদক ও নারী ঘটিত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রশ্রয় দেয়না। সংগঠনের কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর