× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন: গয়েশ্বর

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) ডিসেম্বর ৫, ২০২০, শনিবার, ১:৫৭ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। করোনার ১০ মাসের মধ্যে শেখ হাসিনা আলোতে চেহারা আনেননি। তিনি ক্যামেরায় আছেন। আর ওনার সাথে সঙ্গী করেছেন ওবায়দুল কাদেরকে। তার কথায় উত্তর দেওয়া খুব একটা গুরুত্ব বলে মনে করি না। তার বলার অভ্যাস, বলতেই হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক দোয়া মাহফিলের তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া এ মাহফিল অনুষ্ঠিত করে শ্রমিক দল।

গত সোমবার নজরুল ইসলাম খানের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর পর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

গয়েশ্বর বলেন, আমি করোনায় আতঙ্কিত না। আমি আতঙ্কিত এই ভয়াবহ রাষ্ট্র ব্যবস্থায়। করোনার যদি মৃত্যু হয় তাহলে খুব কষ্ট পাব। কারণ করোনা প্রতিরোধের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে-সমষ্টিগতভাব- জাতিগতভাবে এই সরকারকে প্রতিরোধ-প্রতিহত করে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাসের শুরুতে একটি কথা আসছে। সভা-সমাবেশ, মিছিল,‌কথাবার্তা বলার আগে অনুমতি নিতে হবে। এসব মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। এসব করতে যদি অনুমতি প্রয়োজন হয় তাহলে যেগুলো মানুষের সাংবিধানিক অধিকারে না, সেগুলো করতে কেন অনুমতি নিতে হয় না?

করোনার থেকেও বেশি লোক মারা যাচ্ছে রোড এক্সিডেন্টে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যে পরিমাণ মানুষ রোড এক্সিডেন্টে মারা যায় তার থেকে অনেক বেশি মানুষ মারা যায় আমাদের দেশে। কিন্তু এখানে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বাসের চাকার নিচে ফেলে মানুষ মারার জন্য যখন অনুমতি নিতে হয় না। কোন কিছুই যখন শেখ হাসিনার অনুমতি ছাড়া হয় না। তখন আমি তো বিশ্বাস করতে চাই নারী শিশু ধর্ষণ যা কিছু ঘটছে তার অনুমতি উনি (শেখ হাসিনা) দিচ্ছেন। লুটপাট, দুর্নীতি, জনগণের টাকা পকেটমার, এগুলো যারা করে তারাও কিন্তু শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে, অনুমতিতেই করছে। জাতীয় জীবনে যত অপকর্ম আছে, যত স্বৈরতান্ত্রিক,‌ অগণতান্ত্রিক, যত নিষ্ঠুরতা তার জন্য জবাবদিহিতা নাই, এসবের জন্য অনুমতি প্রয়োজন হয় না।

বিএনপি এ নেতা বলেন, আইনমন্ত্রী বারবার মনে করিয়ে দেন খালেদা জিয়াকে ঘরে বসে চিকিৎসা নিতে হবে। খালেদা জিয়া আগে ছিলেন জেলবন্দি, কারাবন্দি। এখন গৃহবন্দী। আগে আইজি প্রিজনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়ার সাথে মাঝে মাঝে দেখা করা যেত। আইজি প্রিজন কাউকে অনুমিত দিতেন, কাউকে দিতে না। এখন অনুমতি দেওয়ার লোক নাই। সরকার দিচ্ছে না।

গয়েশ্বর আরো বলেন, বিএনপির আন্দোলনে সফল হচ্ছে না বলে মাঝেমধ্যে ওবায়দুল কাদের কথার মধ্যে বিএনপির জন্য দরদ দেখা যায়। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলতে চাই আন্দোলন সফল করার জন্য আপনার মতন লোককে ভারাক্রান্ত হবে না। আন্দোলন সংগ্রামে সফলতা আমাদের আছে। অতীতের সফল হয়েছে। ভবিষ্যতে আবারো সফল হব, এটা গ্যারান্টি বলতে পারি।

শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইনেে সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর