ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩ পৌরসভায় কারা পাচ্ছে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন। সেদিকেই এখন নজর সবার। বিশেষ করে জেলা সদরে কার ভাগ্যে জুটছে দলের মনোনয়ন সে বিষয়টি রয়েছে আলোচনার কেন্দ্রে। তবে শনিবার তৃনমুলের যে রায়ের ফলাফল তাতে বর্তমান মেয়র নায়ার কবিরের অবস্থান শীর্ষে। দ্বিতীয় অবস্থানে যুগ্ম ভাবে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন ও পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মো: রফিকুল ইসলাম। আর তৃতীয় হয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি,সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূইয়া। দলীয় সুত্র জানায়- এই পৌরসভায় মনোনয়ন পেতে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ২৫ নেতাকর্মী দলের মনোনয়ন আবেদন সংগ্রহ করেন। ছাত্রলীগ,যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ থেকে শুরু করে দলের সহযোগী সব সংগঠনের নেতারা মনোনয়নের আবেদন সংগ্রহ করেন হুমড়ি খেয়ে।
মোট কথা ছেলে-বুড়ো সবাই। তবে তাদের মধ্যে ২০ জন মনোনয়নের আবেদন জমা দেন। তবে শনিবার শেষ পর্যন্ত তৃনমুলের রায়ের জন্যে দাড়ান ১৬ জন। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন- তৃনমুলের মতামতের বাইরেও জনপ্রিয়তা,সততা এবং যোগ্যতার বিষয় মুল্যায়ন করা হবে। এরপরই আমরা সিদ্ধান্ত নেব কোন তিনজনের নাম কেন্দ্রে পাঠাব। আর এটি করবে ৬ সদস্যের বাছাই কমিটি। এই কমিটিতে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি,সাধারন সম্পাদক ছাড়াও সদর উপজেলা এবং পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক রয়েছেন। রোববার রাতে এই কমিটির বৈঠক বসবে বলে তিনি জানান। এদিকে কসবা পৌরসভায় তৃনমুলের রায়ে সমান সমান বর্তমান মেয়র ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো: আবদুল আজিজ। এছাড়াও আওয়ামীলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন জামিলের নাম রয়েছে। এই পৌরসভায় দলের মনোনয়ন আবেদন সংগ্রহ করেন ৫ জন। আখাউড়া পৌরসভায় দলের মনোনয়ন আবেদন ৮ জন সংগ্রহ করলেও জমা দেন ৭ জন। এরমধ্যে বর্তমান মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল,আওয়ামীলীগ নেতা মোবারক হোসেন রতন ও মোহাম্মদ আলী ভূইয়ার নাম যাচ্ছে কেন্দ্রে।