× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আট মাসের সন্তান কোলে নিতে বাংলাদেশ ফিরবেন সিঙ্গাপুরের মৃত্যুঞ্জয়ী রাজু

অনলাইন

তারিক চয়ন
(৩ বছর আগে) ডিসেম্বর ৫, ২০২০, শনিবার, ১১:১০ অপরাহ্ন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ৫ মাস পর সিঙ্গাপুরের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া আলোচিত বাংলাদেশি রাজু সরকার আগামী বছরের শুরুতে তার আট মাস বয়সী শিশু পুত্রকে দেখতে বাংলাদেশে আসার আশা প্রকাশ করেছেন। রাজু এখনো তার ছেলে সাফুনকে কোলে নিতে পারেন নি। কারণ মার্চ মাসে বাংলাদেশে যখন সাফুনের জন্ম জন্ম হয়, তখন তার বাবা সিঙ্গাপুরের হাসপাতালের আইসিউতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন।

স্ট্রেইট টাইমস এর এক প্রতিবেদনে রাজুর বাংলাদেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাজু সরকারের বয়স ৩৯ বছর। সিঙ্গাপুরে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার প্রথমদিকে ফেব্রুয়ারিতে যে কয়েকজন বাংলাদেশি আক্রান্ত হন তাদের মধ্যে ছিলেন রাজু-ও। হাসপাতালে ৫ মাস চিকিৎসাকালীন সময়ে তিনি কয়েকবার 'মৃত্যুর খুব কাছাকাছি' চলে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে তার ফিরে আসাটাকে 'বিস্ময়কর' বলছিলেন চিকিৎসকরা। যদিও চিকিৎসার ধকলে তিনি ২৪ কেজি ওজন হারিয়েছিলেন। তিনি অসুস্থ হওয়ার সময় বাংলাদেশে তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, গত ৩০ মার্চ তাদের একটি ছেলে হয়েছে। হাসপাতালে পাঁচ মাসের অধিকাংশ সময়ই রাজুকে আইসিইউতে কাটাতে হয়েছিল।

জুনে রাজু সিঙ্গাপুরের টান টক সেং হাসপাতাল (টিটিএসএইচ) থেকে ছাড়া পেলে এ নিয়ে ইয়াহু নিউজ, স্ট্রেইট টাইমস সহ অন্যান্য গণমাধ্যম গুরুত্বসহকারে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
তখন রাজু গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, "আমি আমার ছেলে ও স্ত্রীকে দেখতে চাই। তিন-চার মাসের মধ্যে বাড়ি যাওয়ার আশা করছি।" এখন রাজুর সেই স্বপ্ন পূরণ হবার পালা।

রাজু জানান, গত মাসে ফোনে তার ছেলে সাফুন যখন প্রথম 'বাবা' বলে ডেকে উঠে, তখন চোখের পানি আটকে রাখা যাচ্ছিল না। "আমি বাচ্চাটার কথা ভেবে শক্তি পাচ্ছি। ও অনেক বড় হয়ে গেছে। ওকে এখন বিয়ে দিতে হবে", আনন্দিত রাজু মজা করে বলছিলেন।

রাজু সিঙ্গাপুরের একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। গাজীপুর থেকে তার ১৮ বছর বয়সী স্ত্রী সানজিদা আখতার বলছিলেন, "বিদেশে গিয়ে এমন একটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গেলো৷ আমি চাইনা ও আর বিদেশে থাকুক। ওই সময়গুলোর কথা মনে পড়লে এখনো কান্না পায়৷ খুব খারাপ সময় ছিল, আমি অনেক ভুগেছি।"
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর