প্রায় একবছর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের গুরুত্বের কথা স্মরণ করলেন। বললেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রথমদিন থেকেই নিকট প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা তিনি করে গেছেন, ভবিষ্যতেও করে যাবেন।
বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেল চলাচলের উদ্বোধন করেন আজ মোদি ও হাসিনা। দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে কোভিড পরিস্থিতি ও দু’দেশের সহযোগিতার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ভ্যাকসিন নিয়েও কথা বলেন মোদি এবং হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিনন্দন জানান করোনা প্রতিরোধে তার কাজ নিয়ে। দু’দেশের মধ্যে পরিকাঠামো সহযোগিতা, যোগাযোগ সম্পর্কেও ইতিবাচক আলোচনা হয়। বৈঠকের শুরুতেই শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ৩০ লক্ষ মানুষ এবং নিহত ভারতীয় সেনাসদস্যদের অভিবাদন জানান।
দুই রাষ্ট্রনায়ক ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী ও বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামাঙ্কিত ডিজিটাল লাইব্রেরির উদ্বোধন করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী হিসেবে একটি স্বারক ডাকটিকিটেরও উদ্বোধন করেন তারা। দু’দেশের প্রধানই পারস্পরিক সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছেন। সীমান্ত সমস্যা নিয়েও কথা বলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।