বিরাট কোহলি এরপরও কি হবু সন্তানের মুখ দেখার জন্যে দলকে অস্ট্রেলিয়ায় ফেলে চলে আসবেন? শনিবার অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় ক্রিকেট দল দুরমুজ হয়ে হারলো অস্ট্রেলিয়ার কাছে প্রথম দিনরাতের টেস্টে। শুধু হার নয় ছেচল্লিশ বছর আগে অশোক মানকাদের ভারত টেস্টে বেয়াল্লিশ রানের সর্বনিম্ন রানের লজ্জা কাঁধে নিয়েছিল। আর শনিবার মাত্র ছত্রিশ রানে মুড়িয়ে গেল তারা। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই ভারতের সর্বনিম্ন রান। অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট জিতেছে আট উইকেটে সেটা আর বড় খবর হলোনা, ভারতের কাগুজে বাঘরা ছত্রিশ রানে খতম এটাই বড় কথা। মোহাম্মদ সামি ব্যাট করতে পারেননি কনুইয়ে চোট লাগায়। সামি থাকলে যেন ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দিতেন! রেকর্ড বইয়ের পাতায় সামির না ব্যাট করাটা কোনও গুরুত্ব পাবেনা। লেখা থাকবে ইন্ডিয়া অলআউট থার্টি সিক্স! সানি গাভাসকার কদিন আগে ভারতীয় দলের ব্যাটিং দেখে বলেছিলেন, দেখে মনে হচ্ছে, ভারতীয়রা বড়দিনের মুডে চলে গেছে।
আজ নিশ্চয়ই সানি বলবেন, ভারতীয় ব্যাটিং কবরে চলে গেছে। ম্যাচের শেষে বিরাট কোহলি বলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেটারদের ইচ্ছাশক্তিটা চলে গিয়েছিল। মিস্টার কোহলি আপন একটু ভুল বলছেন, ইচ্ছাশক্তি ছিল স্পনসরদের কাছ থেকে টাকা কামানোয়, বিজ্ঞাপন করায়, ইচ্ছাশক্তি ছিল সেলিব্রিটি স্ত্রীকে পাশে নিয়ে মডেলিং করে ফোর্বস ম্যাগাজিনে নাম তোলার। ক্রিকেট ভাঁড় মে যায়। সানি গাভাসকার পুত্র রোহনের মুখ দেখেন চল্লিশ দিন পরে সফরে ছিলেন বলে। মাহেন্দ্র সিং ধোনি কন্যা জিভাকে দেখেন বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর। কারণ, তিনি ওই বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন, আর বিরাট কোহলি প্রথম টেস্টটা খেলেই দেশে চলে আসবেন সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকার জন্যে। মানবতায় বিশ্বাসীরাও হাততালি দিতে সাহস পাবেননা এই চূড়ান্ত অপেশাদারিত্ব দেখে। মিস্টার পারফেকশনিস্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, এরপরও কি আপনি রোহিত শর্মার হাতে নেতৃত্বের বাটন তুলে দিতে সংকোচ অনুভব করবেন?