কলকাতার ক্রিসমাস ইভ-এর সঙ্গে অনেকে তুলনা করেন লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ার অথবা আমেরিকার ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনের ক্রিসমাস ইভ-এর সঙ্গে। এবার কালান্তক কোভিড-এর কারণে জৌলুস অনেকটাই ম্লান। পার্ক স্ট্রিট আলোর মালায় সেজেছে ঠিকই। মধ্যরাতে সেন্ট পলস ক্যাথিড্রালে প্রভু যীশুর জন্মলগ্নে ক্যারোলও হবে। কিন্তু, এই প্রার্থনা সভায় প্রতিবারের মতো এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অংশ নেবেন না। তিনি সন্ধ্যায় ঘুরে আসবেন সেন্ট পলসে।
ক্রিসমাস মানেই পার্ক স্ট্রিটে মদিরার ফোয়ারা, টার্কি আর ক্রিসমাস মিল। এবার করোনার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের পর পানশালা, রেস্তোরাঁয় তালা। অন্যবারের মতো শেষরাত পর্যন্ত উৎসব নয়।
কলকাতায় ২৪শে ডিসেম্বর ক্রিসমাস ইভ-এ, ২৫শে ডিসেম্বর ক্রিসমাসে আর ৩১শে ডিসেম্বর বর্ষশেষের রাতে পার্ক স্ট্রিটে বাঁধনহারা ভিড় হয়।
বাংলাদেশ থেকেও প্রচুর পর্যটক আসেন। এবার বাংলাদেশের ট্যুরিস্টরা নেই। আলো আছে, কিন্তু কোথায় যেন সেই আলোর বিকিরণটা নেই।
কলকাতার সাবেক আংলোইন্ডিয়ান পরিবারগুলির বাস বউবাজারের বো ব্যারাকে। এবার বো ব্যারাকের বড়দিনের উৎসব বাতিল করা হয়েছে। ঘরে তৈরি ওয়াইন, ব্রাউন ব্রেড আর চিকেন রোস্ট এর মনমাতানো সুগন্ধ আজ মিলবে না। সঙ্গে থাকবে না নাচ গান বাজনা। বড়দিনের প্রাকমুহুর্তে অন্য কলকাতার মতো বো ব্যারাকও থাকবে অচঞ্চল, নিষ্প্রভ।