বাজারে আসার আগেই যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল ভারতে নির্মিত দুই কোভিড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ও কোভাকসিনের মধ্যে। আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে এ যুদ্ধ কোভিশিল্ড-এর উৎপাদক সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেকের মধ্যে।
সিরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা একটি টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনটি মাত্র ভ্যাকসিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, কোভিশিল্ড, মডারনা এবং ফাইজার ভ্যাকসিন। বাকিগুলি জল ছাড়া আর কিছু নয়। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরেওয়ালা বলেছেন, কোভাকসিন শুধুমাত্র ব্যাকআপ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
এই দুই বিবৃতিরই তীব্র বিরোধিতা করেছেন ভারত বায়োটেক-এর ডিরেক্টর কৃষ্ণ এল্লা। তিনি বলেছেন, আমরা জল বানাই না। কেউ কেউ বলেছেন, তাদের ভ্যাকসিন সার্বজনগ্রাহ্য হয়েছে।
জানিয়ে রাখি, অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রোজেনেকা ভ্যাকসিন বৃটেন এবং আমেরিকায় অনুমোদন পায়নি। ভারত বায়োটেক নিয়মিত বিজ্ঞানসাধনার পর যে ভ্যাকসিন এনেছে তা জল নয়।
কোভাকসিনের উৎপাদক সংস্থার ডিরেক্টর আরও বলেছেন, কেউ কেউ আমাদের ভ্যাকসিনকে ব্যাকআপ ভ্যাকসিন বলে চালাবার চেষ্টা করছেন। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমার অনুরোধ, বহু কষ্টে আমরা ভারতীয় ভ্যাকসিন আনছি, রাজনীতি করে এই প্রয়াসে জল ঢালবেন না।