গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী এডভোকেট কাজী খানের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েক দফা হামলা ও ভাঙচুরে প্রার্থী নিজেসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল মোতালেব দাবি করেছেন। আশপাশের অনেক দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিএনপি নেতাদের দাবি, গতকাল সকালে শ্রীপুর উপজেলা শহরের রেলস্টেশন এলাকায় ধানের শীষের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে অতর্কিতে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এ সময় প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদের আহত করা হয়। এ ছাড়াও কাজী খানের বাড়ি, তার শ্বশুরবাড়িসহ দলীয় আরো কয়েকজন নেতার বাড়িতে কয়েক দফা হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ সময় প্রার্থী কাজী খান, যুবদল কর্মী খোরশেদ আলম, জেলা মহিলা দল সাধারণ সম্পাদক গুল নাহারসহ অন্তত ২০ জনসহ আহত হয়েছেন।
খোরশেদ আলম নামে এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন মেয়র প্রার্থী কাজী খানসহ কয়েকজন।
প্রার্থী এডভোকেট কাজী খানের অভিযোগ, নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী জনপ্রিয়তার কারণে এবং নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবির আশঙ্কায় নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে আওয়ামী প্রার্থীর সমর্থকরা এই তাণ্ডব চালিয়েছে। হামলার সময় ভাঙচুর ছাড়াও অফিস থেকে নির্বাচনী সামগ্রী অনেক কিছুই লুট করে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের শান্তিপূর্ণ মিছিলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করেছে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি’র কারো ওপরে কোনো ধরনের হামলা করেনি। এনিয়ে উপজেলা শহরে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে অনেক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
কালিয়াকৈর-শ্রীপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আল-মামুন জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারও নেই। এখন পরিস্থিতি শান্ত। পৌরশহরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, ঘটনা শোনা মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পৌর শহরে ম্যাজিস্ট্রেট আছে। পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে যা যা করা দরকার তার সবকিছু করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিএনপি প্রার্থী নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ করায় তার বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন এবং তাকে সার্বক্ষণিক পুলিশি সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।