× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১১ মে ২০২৪, শনিবার , ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

তাপস-খোকনের বাহাস

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১১ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ ও সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে ঘিরে সাবেক ও বর্তমান মেয়রের মধ্যে পাল্টাপাল্টি শুরু হয়েছে। উচ্ছেদে আটঘাট বেঁধে নামা বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস সাবেক মেয়রের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। তবে এ নিয়ে বেশ কিছুদিন নীরব ছিলেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। গত শনিবার তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের পক্ষে এক মানববন্ধনে প্রকাশ্যে কথা বলেন তাপসের বিরুদ্ধে। অভিযোগ তোলেন দুর্নীতি আর অনিয়মের। এদিকে মেয়র তাপস সাঈদ খোকনের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত উল্লেখ করে বলেন, এর কোন গুরুত্ব নেই।
গত শনিবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসে সিটি করপোরেশনের যেসব দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে তা অবৈধ বলে উল্লেখ করেন সাঈদ খোকন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের পক্ষে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বলেন, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাপস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে হস্তান্তরিত করেছেন। এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং করছেন। এ ছাড়া অর্থের অভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গরিব কর্মচারীরা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
সাঈদ খোকনের এসব অভিযোগের বিষয়ে গতকাল শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, তার বিরুদ্ধে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন যে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন তা কোনোভাবেই বস্তুনিষ্ঠ নয়। তিনি বলেন, কেউ যদি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশবর্তী হয়ে কোনো কিছু বলে থাকে সেটার জবাব আমি দায়িত্বশীল পদ থেকে দেয়াটা সমীচীন মনে করি না। বর্তমান মেয়র বলেন, যদি কেউ উৎকোচ গ্রহণ করে, যদি কেউ ঘুষ গ্রহণ করে, যদি কেউ কোনো কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করে, যদি কেউ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে, বিল দেয়ার জন্য কমিশন বাণিজ্য করে, সরকারি প্রভাব কাজে লাগিয়ে কাউকে জিম্মি করে বা কোনো কিছু দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিছু অর্থ নিয়ে থাকে, অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে সে ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়।
তাপস বলেন, সাঈদ খোকন যে অভিযোগ করেছেন আমি মনে করি এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটার কোনো গুরুত্ব বহন করে না।
এদিকে আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের পদ থেকে সাঈদ খোকনের পদত্যাগ দাবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়ায় আইনজীবীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সাঈদ খোকন একজন ব্যর্থ মেয়র হয়েও আধুনিক ঢাকার স্বপ্নদ্রষ্টা ফজলে নূর তাপসকে নিয়ে মিথ্যাচার শুরু করেছেন। তার এমন বক্তব্যের কারণে আমরা তার বাড়ি ঘেরাও করবো। একজন যোগ্য বাবার সন্তান হয়েও তার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। সিটি নির্বাচনে যোগ্যতার ভিত্তিতে নয়, আবেগের ভিত্তিতে তিনি নমিনেশন ভিক্ষা চেয়েছিলেন। উনার কোনো লজ্জাই নেই। মূলত তার (সাঈদ খোকন) বিরুদ্ধে যে তদন্ত চলছে, সেখান থেকে বাঁচার জন্যই তিনি ব্যারিস্টার তাপস সম্পর্কে বিভ্রান্তকর বক্তব্য দিচ্ছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর