× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচার /বাংলাদেশির ৪৬ মাসের কারাদণ্ড

প্রথম পাতা

কূটনৈতিক রিপোর্টার
১১ জানুয়ারি ২০২১, সোমবার

মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মানবপাচারের দায়ে এক বাংলাদেশিকে ৪৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে মার্কিন আদালত। একই সঙ্গে পরবর্তী ৩ বছর তার নেটওয়ার্কের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত ওই বাংলাদেশির নাম মোক্তার হোসেন। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে তিনি দীর্ঘ সময় মেক্সিকোর মন্টেরিওতে বসবাস করতেন। মামলার বিবরণ তুলে ধরে স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোক্তার হোসেন স্বীকার করেছেন যে, তিনি ২০১৭ সালের মার্চ থেকে ২০১৮’র আগস্ট পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন। মন্টেরিতে থেকেই তিনি এ অপকর্ম কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। সেখানে তিনি একটি হোটেল ভাড়া করেছিলেন পাচারের শিকার বাংলাদেশিদের রাখার জন্য। টেক্সাস সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগে ওই হোটেলেই বাংলাদেশিরা আশ্রয় গ্রহণ করতো।
এসব বহিরাগতকে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে পৌঁছে দেয়ার জন্য মোক্তার গাড়িচালকদের অর্থ দিতেন এবং কীভাবে রিও গ্র্যান্ডে নদী পার হতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের ক্রিমিনাল ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ডেভিড পি. বার্নস ওই মামলার বিষয়ে বলেন- মামলার আসামি একটি সংগঠিত চোরাচালান নেটওয়ার্কের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন; যিনি মুনাফার জন্য কাজ করতেন এবং যেসব বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চাইতো তাদের শিকার বানাতেন। তার অপরাধ আমলে নিয়ে আদালতের যে দণ্ডাদেশ দিয়েছেন তা এ ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ সংগঠনে জড়িতদের জন্য একটি সুস্পষ্ট নিরোধক হিসেবে কাজ করে, যারা আর্থিক লাভের জন্য আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করে অবৈধভাবে বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয়। ‘সীমান্ত নিরাপত্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা আসলে একই বিষয়’ মন্তব্য করে টেক্সাসের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলায়  নিযুক্ত মার্কিন অ্যাটর্নি রায়ান কে. প্যাট্রিক বলেছেন। অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রকে জানতে হবে কারা দেশটিতে প্রবেশ করছে। তিনি বলেন, কাউকেই আমরা যুক্তরাষ্ট্রে অবারিত সুযোগ দিতে পারি না। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমার অফিস সব সহযোগী সংস্থার সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করছে। সান অ্যান্টোনিওতে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এসফোর্সমেন্টের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনের ভারপ্রাপ্ত বিশেষ প্রতিনিধি শেন ফোল্ডেন বলেন, মোক্তার হোসেনের অপরাধের তদন্ত, বিচার কার্য ও দণ্ডাদেশ প্রদানের বিষয়টি আন্তর্দেশীয় তদন্তে বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা এবং বিদেশি প্রতিনিধি সংস্থার সমন্বয়ে আন্তর্দেশীয় তদন্ত কাজ সমন্বয়ে সক্ষমতার অনন্য উদাহরণ। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী অপরাধমূলক পাচার নেটওয়ার্কগুলোকে শক্ত হাতে নির্মূল করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে অব্যাহতভাবে কাজ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর