ভারতে নির্মিত কোভিশিল্ড কিংবা কোভ্যাকসিন খোলার ৪ঘণ্টার মধ্যে গ্রহীতার শরীরে পুশ করতে হবে। না হলে এই ভ্যাকসিন কার্যকর হবে না। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই বার্তা পৌঁছে গেছে সব রাজ্য সরকারের কাছে। ভ্যাকসিনের ভায়াল মনিটরিং ব্যবস্থার অভাবেই এই ৪ঘণ্টার রক্তচক্ষু। ভ্যাকসিনের ভায়াল মনিটর অপর্যাপ্ত কেবলমাত্র এই পান্ডেমিক অবস্থার জন্যে। উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে এই করোনা পান্ডামিকে। বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট টি জেকব জন জানিয়েছেন যে, ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কম তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিন রাখতে হয়। একবার এই কোল্ড চেন ভাঙলে ভ্যাকসিন তার কার্যকারিতা হারায়। অন্যথায় এই ভ্যাকসিন চার সপ্তাহ সক্রিয় থাকে। জেকব জানান যে ভ্যাকসিনের ভায়াল মনিটর এই কারণেই অত্যন্ত জরুরি।
ভারতে নির্মিত কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিনের এক একটি ভায়ালে দশটি করে ডোজ থাকছে। যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারি ঘোষণা করেছে যে ভ্যাকসিনের প্রতিটি সাইট এ একশো জনের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। তাই, ভ্যাকসিনের ভায়াল মনিটরের অভাবে কাজটি যথার্থ চ্যালেঞ্জিং হবে। বহু ভ্যাকসিন কার্যকারিতা হারিয়ে নস্ট হওয়ার সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছেনা। এই অবস্থায় কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার ম্যানেজমেন্ট নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে।