× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আমার নিজেকে খাঁচায় বন্দি মনে হচ্ছিল (৪৬)

এক্সক্লুসিভ

কাজল ঘোষ
১২ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

আমি আমার টিমকে নিয়ে বসি অফিসে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করি। এখান থেকে অন্তত একটি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। আমরা কি কোনো চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা নষ্ট করে দিলাম? নাকি এখনো কোনো ধরনের সুযোগ আছে? আমার নিশ্চিত হওয়া জরুরি ছিল। যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো আইডিয়া মাথায় আসছে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নীরবে কিছু সময় বসে থাকলাম। পাশের কক্ষে থাকা আমার সহকর্মীর দিকে লক্ষ্য করে চিৎকার করি (যা ছিল একই ইন্টারকম সিস্টেমের আওতায়)। ‘ফোনে আমাকে জেমি ডিমনকে ধরে দাও’। ডিমন এই লেখা যখন লিখছি তখন ছিল চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী জেপি মর্গান চেজের।
আমার সহকর্মীরা সমস্বরে বলে ওঠে, তুমি তাকে ফোন করতে পারো না।
একজন অ্যাটর্নি তার প্রতিনিধিত্ব করছেন!
আমি পাত্তা দিচ্ছি না, তাকে ফোনে ধরিয়ে দাও। আমার নিজেকে খাঁচায় আটক মনে হচ্ছিল। আইনজীবী ও মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে কথা বলতে বলতে আমি ক্লান্ত। আমি সরাসরি সূত্রের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম এবং আমি বিশ্বাস করি এটাই করা উচিত ছিল।  
দশ সেকেন্ড পরেই আমার সহকারী আমাকে জানালো যে, মি. ডিমন লাইনে আছেন। আমি আমার ইয়াররিং কানে লাগিয়ে ফোনটি রিসিভ করি।
তুমি আমার অংশীদারদের চুির করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছো। ফোনে আমার শব্দ পাওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই চিৎকার করে বলে ওঠলো, ‘তোমার শেয়ারহোল্ডার?’ ‘তোমার শেয়ারহোল্ডার?’ আমার শেয়ারহোল্ডাররা ক্যালিফোর্নিয়ায় বাড়ির মালিক। তুমি আসো এবং দেখে যাও। কথা বলে দেখো কে চুরি করছে। এটা কিছুক্ষণ একইভাবে চলতে লাগলো। আমরা কুকুরের মতো ঝগড়া করতে লাগলাম। আমার দলের একজন সিনিয়র সদস্য পুরো বিষয়টি নতুনভাবে ভাবতে বললেন, ‘এটা হয়তো অনেক ভালো নয়তো অনেক খারাপ কিছু।’
আমি ডিমনের সঙ্গে আইনজীবী যা বলেছেন তা শেয়ার করি এবং কেন তা গ্রহণ সম্ভব নয় তাও তাকে জানাই। সবকিছু ঠাণ্ডা হলে আমি বিস্তারিত আমাদের চাওয়া নির্দিষ্ট করে ডিমনকে জানাই। কোনো জেনারেল কাউন্সেলের মাধ্যমে নয় সরাসরি আমার মাধ্যমে। কথার শেষ পর্যায়ে সে জানালো যে তার বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে আমাকে জানাবে তারা কি করতে পারে।
আমি কখনই জানতে পারবো না ডিমনের ওপাশে কি হয়েছিল? কিন্তু আমি জানি দু’ সপ্তাহের মাথায় ব্যাংকগুলো ফিরে এসেছিল। যেখানে আমাদের দু’ বিলিয়ন না চার বিলিয়ন তা নিয়ে দরকষাকষি হচ্ছিল। সেখানে আমরা আঠার বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করতে সক্ষম হই। যা সময়ের সঙ্গে বিশ বিলিয়ন হয়ে বাড়ির মালিকদের কাছে যাবে। এটি ছিল ক্যালিফোর্নিয়াবাসীর জন্য বড় জয়। ব্যাংক যে তাদের শর্ত পূরণ করেছে তা নিশ্চিত করার জন্য ফেডারেল গভর্নমেন্ট একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছে তবে তাতে আমি সন্তষ্ট হতে পারছিলাম না। আমি আমার নিজের জন্য একজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিলাম এবং তাকে চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করার জন্য নিয়োগ দিলাম। আমাকে ওয়াশিংটনে যেতে বলা হয়েছিল বড় একটি সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য। এটি আইন মন্ত্রণালয় এবং হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমি আমার দলের সঙ্গে বাড়িতেই থাকতে চেয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চেয়েছিলাম। একই সঙ্গে পরবর্তী যুদ্ধে নামার জন্য মনোবল বাড়াবার কাজটিও করছিলাম।
কমালা হ্যারিসের অটোবায়োগ্রাফি
‘দ্য ট্রুথ উই হোল্ড’ বই থেকে
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর