আলাদিনের গুপ্তধনের জন্যও বোধহয় এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা কায়েম হতো না। কিন্তু এই অতিমারির দুনিয়ায় ভ্যাকসিনের ভায়াল এখন সোনা কিংবা হীরার থেকেও দামি। তাই, পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং হায়দরাবাদ-এর ভারত বায়োটেকে যেমন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, ঠিক তেমনই ভ্যাকসিন যখন আজ ভোর থেকে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো শুরু হল, সেখানেও পথের নিরাপত্তা প্রবল। জেড প্লাস সিকিউরিটি সিস্টেম-এ যেমন বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী থাকে ঠিক তেমন।
মাহিন্দ্রা সিকিউরিটিসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ভ্যাকসিনের ভায়ালের নিরাপত্তার। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়ে দিয়েছেন প্রথম পর্বে কোভিড যোদ্ধারা এই ভ্যাকসিন পাবেন যাদের মধ্যে সাফাই কর্মীরাও থাকবেন।
৩ কোটি ভ্যাকসিন ১৬ই জানুয়ারি থেকে দেয়া শুরু হবে বিনামূল্যে। এই ভ্যাকসিনের ভায়াল বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো শুরু হল আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে।
পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকে তো সীমাহীন নিরাপত্তা। পথের নিরাপত্তা আরও বহুগুন। সম্ভাব্য লুঠতরাজ এবং চুরি আটকাতে ভায়ালগুলি বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিশেষ ভ্যাকসিন ভ্যানে। ব্যাংকের এটিএম-এ যেভাবে টাকা নিয়ে যাওয়া হয়, সেই রকম সশস্ত্র প্রহরায় ভ্যানগুলি যাচ্ছে বিমানবন্দরে।
মাহিন্দ্রা সিকিউরিটিস-এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রতিটি ভ্যানে থাকছে জিপিআরএস সিস্টেম, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিকিউরিটি। বিমানে এই ভায়ালগুলি রাখা হবে কোল্ড চেম্বারে। সেখান থেকে গন্তব্যে পৌঁছানোর পর আবার বিভিন্ন শহরে মাহিন্দ্রা সিকিউরিটিজ দায়িত্বে। সেই ভ্যাকসিন ভ্যান জিপিআরএস, ফিঙ্গার প্রিন্ট সিকিউরিটি এবং সশস্ত্র প্রহরায়।
বিমানবন্দর থেকে রাজ্য সরকারগুলির নির্ধারিত স্টোর্স। সেখানেও বসানো হয়েছে সিসিটিভি। ক্যামেরায় নজরবন্দি থাকবে ভায়ালগুলি। যখন ভায়ালগুলি জেলায় যাবে তখনও সেই ভ্যাকসিন ভ্যান, কঠোর নিরাপত্তা। জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া প্রতিটি ভ্যাকসিন ভায়ালের জন্য বিশেষ বারকোড এর ব্যবস্থা করেছে।