× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাটহাজারীতে পিবিআই /বাবুনগরীকে জিজ্ঞাসাবাদ

শেষের পাতা

ইব্রাহিম খলিল, চট্টগ্রাম থেকে
১৩ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক আমীর আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলা 
তদন্তে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার দুপুরে পিবিআই কর্মকর্তারা হাটহাজারী মাদ্রাসায় পৌঁছান। এ সময় হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। পিবিআই চট্টগ্রামের পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) কাজী এনায়েত কবীর মঙ্গলবার বিকালে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ পিবিআই কর্মকর্তারা হাটহাজারী মাদ্রাসায় গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি পিবিআই। এ প্রসঙ্গে পরিদর্শক (প্রশাসন) কাজী এনায়েত কবীর বলেন, তদন্তের স্বার্থে আপাতত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না।
তবে এ বিষয়ে যথাসময়ে সবকিছু জানতে পারবেন। সূত্রমতে, গত ১৭ই ডিসেম্বর হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমীর মাওলানা শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগে নালিশি মামলা করেন তার শ্যালক মাওলানা মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন রুহি। চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিপলু কুমার দে’র আদালতে করা এই মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাওলানা মো. নাসির মুনিরকে। আর দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। এ ছাড়া সংগঠনটির আরো ৩৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মামুনুল হক গত বছরের ১১ থেকে ১৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় এসে হেফাজতের বর্তমান আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে বৈঠক করে আহমদ শফীর ছেলে আনাস মাদানিকে বহিষ্কারের দাবি করেন। আহমদ শফী বিক্ষুব্ধদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। আনাস মাদানিকে বহিষ্কার না করলে হেফাজতের তৎকালীন আমীরের চরম ক্ষতি করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয় বিক্ষুব্ধদের পক্ষ থেকে। এ সময় অসুস্থ আহমদ শফীকে বিক্ষুব্ধরা নানাভাবে বিরক্ত করেন এবং হুমকি দেন। ১৭ই সেপ্টেম্বর আহমদ শফীকে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলেন এবং তার নাকে লাগানো অক্সিজেন নল খুলে ফেলেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তার চিকিৎসার জন্য মাদ্রাসার বাইরে আনার চেষ্টা করেও পারা যায়নি। আর আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলে। প্রসঙ্গত, গত ১৮ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হেফাজতে ইসলামের সর্বোচ্চ নেতা ও হাটহাজারী মাদ্রাসার দীর্ঘদিনের পরিচালক আহমদ শফী মারা যান। তার আগের দিন শফীর অব্যাহতি এবং তার ছেলে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আনাস মাদানির বহিষ্কার দাবিতে মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। সেই দ্বন্দ্বের জেরে ১৭ই সেপ্টেম্বর শূরা কমিটির বৈঠকে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন আল্লামা শফী। ওই বৈঠকে শফীর ছেলেসহ দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে হাটহাজারী বড় মাদ্রাসায় দৃশ্যত আহমদ শফীর সুদীর্ঘ দিনের কর্তৃত্বের অবসান ঘটে। সেই বৈঠকের পরপরই আহমদ শফীকে মাদ্রাসা থেকে এম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে ঢাকায় নেয়া হলে পরদিন তিনি মারা যান। সেদিনই ঢাকায় সাংবাদিকদের শফীপুত্র আনাস মাদানি বলেছিলেন, আগের দিনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত তার বাবা মারা গেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর