এক অসাধারণ ব্যাক্তিত্বের প্রয়াণ। এমন নির্লোভ, নিরহংকারী, নিরপেক্ষ ও সাদা মনের মহাপ্রাণ পৃথিবীতে কমই আসে। উনাকে খুব কাছেথেকে দেখার সৌভাগ্য আমারও হয়েছিল বিভিন্ন সময়ে। মতিভাই, আপনিও অসাধারণ। আপনার লেখা পড়ে আপ্লুত হলাম। আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসার কী অনন্য সুন্দর প্রকাশ। দীর্ঘজীবী হোন সার্বিক সুস্থতা নিয়ে।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের নক্ষত্রগুলো দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে! একেকজন এবিএম মুসা, গোলাম সারওয়ার, গিযাস কামাল চৌধুরী, আতাউস সামাদ ও মিজানুর রহমান খানেরা এক দিনেই হন না। শত বছরে একবারই আসেন। তাদের অভাব কখন্কেই পুরণ হবার নয়। তাদের যোগ্য উত্তরসূরির বড়ই অভাব। আমাদের সেই সব নক্ষত্র অভিভাবকদের মদ্যে আপনিও অন্যতম একজন মতিভাই। আপনিও ভাল থাকুন। শুভ কামনা .........
মিজানুর রহমান খান এর শুন্যতা পূরনের নয়। চামচাদের ভিরে আর একজন মিজান হতে হয়তো কয়েক যুগ লাগবে। আমরা সাধারণ জনগণ প্রতিদিন মিজান কে মিস করবো। আর তার পুনঃজন্মের জন্য অপেক্ষা করব। আল্লাহ এই সৎ ভালো অসাধারণ মানুষটি কে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।
মৃত্য অনিবার্য। তবে কোন কোন মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি, ক্ষতের সৃষ্টি করে। তবুও মেনে নিতে হয়। মতিভাই আপনি ভালো থাকবেন।
বিশিষ্ট সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে গণমাধ্যমের জন্য বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল। সমকালীন সময়ে শিক্ষিত ,পড়াশুনা জানা সাংবাদিকের বড়ই অভাব। তেলবাজ আর চামচাদের এ যুগে মিজান ভাই যেভাবে নিরপেক্ষ এবং সাহসের সঙ্গে যে কোন বিষয়ে বিশ্লেষণ করতেন তা এক কথায় অসাধারণ। বিশেষ করে আইনের মত একটি জটিল বিষয় তিনি অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেন যা খুবই অতুলনীয়। গণমাধ্যমের জন্য তিনি ছিলেন একটা বড় সম্পদ। মতি ভাই আপনার লেখাটি অনেক ভাল লাগল। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। ১৩.০১.২১
তিনি দলকানা ছিলেন না। কোনো পক্ষ নিয়ে অনেকের মত নির্লজ্জ দলবাজিও করতেন না। সত্যিকার খাঁটি একজন মানুষ যিনি সত্য আর নিরপেক্ষতাকেই সবসময় ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন। সহজ-সরল, সদা হাসি মুখের এক অসম সাহসী প্রোফাইল... সত্যিই অতুলনীয়! দুর্ভাগ্য, তাঁকে ধরে রাখা গেল না। মহান আল্লাহ তাঁকে চির শান্তিতে রাখুন। আমিন।
খুবই আবেগময় লেখা, পড়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না, গড়িয়ে পড়ে গেল। ওনার টক শোর আলোচনা আমি শুনতাম। ভাল লাগত। আমার জ্ঞান সীমিত তাই কিছুই লিখতে পারলাম না। তবে ভাল মানুষরা বেশি দিন দুনিয়ায় থাকেন না। আল্লাহ্ তাঁর কাছে নিয়ে যান।
আল্লাহ যেন উনাকে বেহেস্ত দান করেন।
পৃথিবী বড়ই নিষ্ঠুর নিজের অজান্তেই চুখের কোনে পানি এলো। নির্লোভ সৎ সাংবাদিকতার বাতিঘর মিজানুর রহমান খান চলে গেলেন বাংলাদেশের সৎ নিরাপেক্ষ সাহসিকতার কলম সৈনিকের মৃত্যু আমাদের খতি হলো। আল্লাহর দরবার দোয়া প্রার্থনা জনাব মিজানুর রহমান খান কে আল্লাহ্ যেন জান্নাতুল ফেরদৌসের মর্যাদাবান পবিত্র স্থান দান করুন। আমিন আমিন। আপনি মতিভাই সৎ সাংবাদিকতার বাতিঘর আপনাদের মাঝে মিজানুর রহমান খানরা বেচে থাকবে যুগের পর যুগ শতাব্দীর পর শতাব্দী। আপনার মুল‍্যবান লিখার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের প্রথিতযশা একজন সংবাদকর্মী মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজে, রাজনৈতিক অঙনে এবং পাঠক সমাজেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আমি একজন পাঠক হিসেবে প্রথম আলো- তে তাঁর লেখা পড়ে মনের খোরাক পেয়েছি। মুগ্ধ হয়েছি তাঁর চিন্তাশীল বিশ্লেষণধর্মী লেখা পড়ে। লেখার বিষয় বস্তুর গভীরে চলে যেতেন তিনি। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। অনেক সময় বন্ধুত্বের, সহ কর্মীর ও লেখকের সাথে পাঠকের সম্পর্ক রক্তের সম্পর্ককে উতরে যায়। প্রিয়জনের বিচ্ছেদের যন্ত্রণা বড়োই কঠিন। এ যন্ত্রণা বুকের ভেতরটা এমনভাবে দুমড়ে মুচড়ে দেয় এর সবটুকু অভিব্যক্তি মুখে প্রকাশ করা অসম্ভব। তবুও আমরা প্রিয়জনের বিচ্ছেদে শোকগাথা প্রকাশ করি। এতে ক্ষণিকের তরে বুকটা হয়তো কিছুটা হালকা হয়। কিন্তু, বুকের ভেতরের ক্ষতটা যেমন সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তুলতে পারা যায় না, তেমনি বুকের ভেতরের যন্ত্রণাটাও পুরোপুরি নিঃশেষ হয়ে যায় না। বিচ্ছেদের স্মৃতি আজীবন তাড়া করে। যন্ত্রণার বহু স্মৃতির সঙ্গী হয়েই আমাদের পথ চলতে হয়। সবাইকে কাঁদিয়ে মিজানুর রহমান খানের চলে যাওয়ার অভিব্যক্তি বিভিন্ন জন যাঁর যাঁর ভাষায় ব্যক্ত করেছেন। মতিউর রহমান চৌধুরী মিজানুর রহমান খানের সাথে তাঁর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বেদনা বিদুর মনে প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছেন, 'মিজান, এমন তো কথা ছিল না!' প্রতিবেদনের উপসংহারে তিনি মিজানুর রহমান খানকে বিশেষায়িত করেছেন এভাবে, 'মিজান কি ছিল? এক কথায় বলতে গেলে, মিজান ছিল সাংবাদিকতার জাদুকর। শুধু আইনি সাংবাদিকতার বাতিঘর নয়। আমি তাকে চিনেছি একজন অলরাউন্ডার হিসেবে।' ফরহাদ মজহার বলেছেন, 'এভাবে চলে যাওয়ায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছি।' মঞ্জরুল আহসান বুলবুল বলেছেন, 'মেনে নেয়া কঠিন।' নূরুল কবীর বলেছেন, 'সাংবাদিকতা মিজানুর রহমান খানকে বাঁচিয়ে রাখবে।' আসিফ নজরুল বলেছেন, 'এমন ভালোবাসায় মৃত্যু হয় কতো বড়ো মানুষের।' শামীমুল হক বলেছেন, 'ওপারেও এমন হাসিখুশি থাকুন মিজান ভাই।' সাঈদ চৌধুরী লিখেছেন, "মিজানুর রহমান খান আমার কাছে বৃটিশ মূলধারার সাংবাদিকদের মতো মনে হতো। আমি বলতাম, বাংলাদেশের রবার্ট ফিস্ক। পশ্চিমা বিশ্বের ঝানু সংবাদিক রবার্ট ফিস্ক ছিলেন আমার একজন অনুপ্রেরণা।" সকলের কথায় মমতার নিবিড় একটা বন্ধনের সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। মিজানুর রহমান খান ছিলেন সদা হাস্যেজ্জ্বল। এই প্রতিবেদনের সাথে সংযুক্ত ছবিটার দিকে তাকিয়ে মনটা সত্যিই ভরে গেছে। এমন নির্মল বিনয়ী হাসি ক'জন হাসতে পারে! ওপারেও এমন হাসিখুশি থাকতে বলেছেন শামীমুল হক। আল্লাহ তায়ালা তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা হয়ে হাসিখুশি থাকতে দিন। এটাই আমাদের প্রার্থনা। কিন্তু কথা হলো, আমরাও তো এ নশ্বর জগতে চিরকাল থাকতে পারবো না। আমরা যখন এ জগত ছেড়ে চলে যাবো, আমরাও কি হাসিখুশি থাকতে পারবো? জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা হতে পারবো? এ জগতে আমাদের কর্মফলই বলে দেবে আমরা পরপারে হাসিখুশি থাকতে পারবো কি পারবোনা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন এজন্য যে, তিনি দেখতে চান কর্মের দিক থেকে কে কতোটা উত্তম। পবিত্র কুরআন মজিদে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আমি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছি, কাজের দিক থেকে তোমাদের মধ্যে কে উত্তম তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য। আর তিনি পরাক্রমশালী এবং ক্ষমাশীল।" সূরা আল মুলক্ঃ২। সুতরাং, আল্লাহ তায়ালার দরবারে একটাই প্রার্থনা, তিনি যেনো আমাদের এ জীবনের কাজ কর্মগুলোকে পরকালে জান্নাতুল ফেরদৌস পাওয়ার এবং হাসিখুশি থাকার উপযোগী করে দেন। আমরা যেনো চলতে পারি সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে। আমিন।।
মৃতূ পরবর্তী জীবন শুধুই বিশ্বাস কিন্তু বাস্তবতা হোল মিজান আর নেই।সংবিধানের বিধান গুলোকে সাধারণ মানুষকে সহজ বোধগম্য ভাষায় বুঝানোর মতো আপাতত আর কেউ রইল না দেশ।মিজানের প্রতি শ্রদ্ধা রইল।
অনেক ইমোশনাল লেখা। আমি জানি কাছ থেকে দেখেছি, মিজান ভাইয়ের সাথে আপনার সম্পর্কটা কেমন ছিল মতি ভাই। আপনি অনেক ভাল থাকুন।
এম এ মুনতাকিম
১৫ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার, ২:৫৮আপনার লিখা পড়ে খুবই আফসোস হচ্ছে আমরা দোয়া করছি মহান আল্লাহ তায়ালা উনাকে বেহেশতের সর্বোচ্চ স্হানে অধীষ্টিত করুণ আমিন